• ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

কুলাউড়ায় মানবাধিকার কমিশনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত জুলাই ৩০, ২০১৭

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুলাউড়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে নবগঠিত কমিটির সদস্যদের নিয়ে এক কর্মশালা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৯ জুলাই (শনিবার) সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত কুলাউড়া রেলওয়ে শ্রমীকলীগ কার্যালয় প্রাঙ্গণে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
মানবাধিকার কমিশন কুলাউড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আহবাব হোসেন রাসেলের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি এড. কিশোরী পদ দেব শ্যামল। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সহ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির, সমাজসেবক রেজাউর রহমান কয়ছর, আব্দুস সালাম চৌধুরী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এড. কিশোরী পদ দেব শ্যামল বলেন, সৎ পথে উপার্জন করে মানব সেবায় অর্থ ব্যায় করলেই মুলত প্রকৃত মানবাধিকার কর্মী হওয়া যায়। অবৈধ উপায়ে টাকা উপার্জন করে মানবসেবা করা যায় না। নিজে মানবাধিকার ভুলুণ্ঠিত করে অন্যের ব্যাপারে মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা করা হাস্যকর বিষয়। মানব সেবা করতে প্রথমে নিজেকে মানব অধিকার বিষয়ে সচেতন করতে হবে পরে অন্যের মানবাধিকার বিষয়ে তদারকি করতে হবে। আমরা নিরেপক্ষ থাকবো, অন্যায় দেখলে প্রতিবার করবো, কথা কম বলে কাজ বেশী করবো।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক আব্দুল বাছিত, ফখরুল ইসলাম, মানবাধিকার কমিশনের দক্ষিণ কুলাউড়া আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আব্দুস সালাম, উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সহ সভাপতি রেজাউর রহমান কয়ছর, সুজিত দেব, সমরেশ রায় দেব, আজিজুর রহমান টিটু, মাহবুবুর রহমান জসীম, নির্বাহী সদস্য শাকির আহমদ, আনোয়ার আলম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহফুজ শাকিল প্রমুখ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া মানবাধিকার কমিশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হায়দার সোহেল, কামাল উদ্দিন আহমদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক একেএম জাবের প্রমুখ।
কর্মশালা ও আলোচনা সভা শেষে উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামীম মুসা এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের পরিচালক ও উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান ফজলুল হক ফজলুকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
কর্মশালা শুরুর আগে প্রভাষক সমরেশ দাস রায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। পরে কোরআন তেলাওয়াত করেন মাও. আব্দুল জলিল এবং গীতাপাঠ করেন নয়ন লাল দেব।