সিলেট সুরমা ডেস্ক : ৫ সন্তানের জননীর বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দিনের আলো কিংবা রাতের আধাঁরে ঐ জননীকে পুলিশ দিয়ে হয়রাণীর করার ও অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভোক্তভোগি মমতা বেগম পুলিশি হয়রানী ও মিথ্যা মামলার হাত থেকে রেহাই পেতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছেন। গত ২৩ জুলাই তিনি এ লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। মমতা বেগম দক্ষিণ সুরমার কদমতলী ফেরীঘাট এলাকার টিপু বক্সের কলোনীর শাহীনের স্ত্রী। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ৫ সন্তান নিয়ে কোনো রকমে দিনযাপন করে আসছেন তিনি । একই একজন বিয়ে পাগল ।
গত ৯ মে বিকেলে দুলালের ৪ বছরের শিশুপুত্র কলোনীতে খেলার ছলে উচু জায়গা থেকে নিচে পড়ে হাতে আঘাত পায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মমতা বেগম ও তার স্বামীকে দোষারূপ করে শিশুপুত্র ইমনের বাবা কলোনীর অপর বাসিন্দা মৃত আলতা মিয়ার ছেলে দুলাল। দুলাল বলে মমতা ও তার স্বামী তার ছেলেকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। ঘটনার সময় মমতা বেগম বাসায় ছিলেন না। সংবাদ পেয়ে কলোনীতে এসে লোকজন জড়ো দেখে ঘটনা জানতে পারেন। তখন দুলাল মমতা বেগমের উপর ক্ষেঁেপ যায়। এ সময় লোকজন দুলালকে ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে বলেন । দুলাল তার ছেলেকে হাসপাতালে রেখে কলোনীতে এসে চিৎকার চেঁচামেঁিচ করে। তখন কলোনীর মালিক টিপু বক্স ইমনের চিকিৎসার জন্য সাড়ে ৪ হাজার টাকা প্রদান করেন। দুলাল তাতেও সন্তুষ্ট না হয়ে ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোটারিয়ান হাজী তৌফিক বকস্’র লিপনের কাছে যায়। কাউন্সিলর মানবিক বিবেচনায় তাকে ১৫ হাজার টাকা চিকিৎসা বাবদ প্রদান করেন। দুলালের মিথ্যা অপবাদ থেকে বাঁচতে মমতা বেগম শিশু ইমনের চিকিৎসা বাবদ ৪ কিস্তিতে ১৮ হাজার টাকা প্রদান করেন। দুলাল টাকা পেয়ে লোভে পড়ে যায়। সে পূনরায় মমতা বেগমসহ অন্যান্যদের কাছে আরো টাকা দাবি করে। ইমনের আহত হওয়ার ঘটনার পর কাউন্সিলরসহ এলাকার লোকজন ইমন খেলার ছলে উচু স্থান থেকে নিচে পড়ে আহত হয়েছে বলে প্রমাণ পান। কাউন্সিলরসহ অন্যান্যরা একটি প্রত্যায়নপত্রে ঘটনার বিবরণসহ তা উল্লেখ করে স্বাক্ষর করেন। দুলাল ঘটনার দেড় মাস পর দক্ষিণ সুরমা থানায় মমতা ও তার স্বামীকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। মামলা নং-১৬, তারিখ-২৮/০৬/২০১৭ ইং। মামলার এজাহারে দুলাল উল্লেখ করে মমতা ও তার স্বামী শাহীন রড দিয়ে পিটিয়ে তার ছেলে ইমনকে আহত করেছে। মামলা দায়েরের পর মমতা বেগম আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। দুলালের অত্যাচার ও পুলিশি হয়রানীর ভয়ে মমতার স্বামী পলাতক জীবন যাপন করছে। আর এদিকে মমতা বেগম পাঁচ সন্তানকে নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে তার। ছেলে মেয়েদের মুখে অন্ন জোগানদাতা পিতা না থাকায় মমতা বেগম চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তিনি ও তার স্বামী মামলা থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।