সিলেট সুরমা ডেস্ক : বিয়ানীবাজার উপজেলার ৪নং শেওলা ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আক্তার হোসেন মিসবাহ’র বিরুদ্ধে সরকারী অনুদানের ত্রান বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে সিলেট দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা বরাবর ১৯ জুলাই ৬নং ওয়ার্ডের ৬৫ জন কৃষক কর্তৃক ¯স্বাক্ষরিত অভিযোগ প্রদান করা হয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ৩ জুলাই সরকারী অনুদান রিলিফ প্রকৃত কৃষকদের না দিয়ে ইউপি সদস্য আক্তার হোসেন মিসবাহ তাঁর আতœীয়-স্বজনদের মধ্যে বিতরণ ও নগদ টাকা তাঁর মনোনীত অকৃষকদের নামে ইস্যু করে অনুদান দেন। এ বিষয়ে ত্রান পাওয়া থেকে বঞ্চিতরা ইউপি চেয়ারম্যনের কাছে লিখিত অভিযোগ প্রদানের পাশাপাশি বিষয়টি বিয়ানীবাজার উপজেলা চেয়ারম্যানকে তারা অবগত করেন। ৬নং ওয়ার্ডের কৃষকরা নিরুপায় হয়ে মৌলিক অধিকার পাওয়ার স্বার্থে এবং সরকারী বিভিন্ন কার্যাদির সঠিক ও যথোপযুক্ত ব্যবহার হওয়ার আশায় দুদকের স্মরণাপন্ন হন। সরেজমিন তদন্তক্রমে এবং সকল অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এ ব্যাপারে ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আক্তার হোসেন মিসবাহ’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,যারা দুদকে ত্রান বিতরণের অনিয়মের কথা উল্লেখ করে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ন রূপে মিথ্যা ও ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্ঠা। সরকার থেকে বরাদ্ধ করা চাল ও নগদ অর্থ ইউপি চেয়ারম্যান জহুর উদ্দিনের উপস্থিতিতে ওয়ার্ডের ভেতর ৩৬ জন কৃষককে সঠিকভাবে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক কৃষক ৩০ কেজি চাল ও নগদ ৫০০ টাকা করে পেয়েছেন। যারা অভিযোগ দিয়েছে তাদের অনেকের পরিবারের ছেলেকে ত্রান ও নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে,পিতাকে কেনো দেওয়া হয়নি ? এই না দেওয়ার কারণকে পুজিঁ করে একটি স্বার্থনেষী মহল ইউপি সদস্য আক্তার হোসেন মিসবাহ’র বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন সরকার থেকে ৩৬ জন কৃষকের কাছে ত্রান দেওয়ার কথা অথচ দুদকে অভিযোগ করেছেন ৬৬ জন কৃষক। আর এ থেকেই প্রমাণ হয় তাদের অভিযোগ মিথ্যা।