আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প ২০১৭ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকার একুশ শতকের উপযোগী দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি করা হচ্ছে । দেশের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের এ সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য এগিয়ে আসতে হবে।
গত ১১ জুলাই শহীদ সোলেমান হল, মদন মোহন কলেজ, সিলেট-এ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ গভর্নেন্স (এলআইসটি) প্রকল্প আয়োজিত আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প ২০১৭ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলার এডিসি (শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি) সৈয়দ মোহাম্মাদ আমিনুর রহমান, মদন মোহন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: আবুল ফাতেহ্, এলআইসিটি প্রোজেক্টের ইন্ডাষ্ট্রি প্রোমোশন স্পেশালিস্ট হাসান বেনাউল ইসলাম, র্যাশনাল টেকনোলোজিস এর সিইও শাকিব চৌধুরী, ওমেন ইন ডিজিটাল এর প্রতিষ্ঠাতা আছিয়া নীলা ও মদন মোহন কলেজেরর রসায়ন বিভাগের প্রভাষক আলী হাসান পারভেজ। এছাড়াও কলেজ থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী এই অনুষ্ঠানে যোগ দান করেন।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে আইটি পেশাজীবির সংখ্যা বর্তমান সাত লাখ থেকে ২০ লাখে উন্নীত করতে চায়। এজন্য নেওয়া হয়েছে নানামুখী কার্যক্রম। আইটি শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী এলআইসিটি প্রকল্পের আওতায় আইটিতে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৪৫ হাজার দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলছে। অব্যাহত রয়েছে দেশব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। এছাড়াও চলমান রয়েছে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৫ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরির প্রশিক্ষণ । বিসিসিতে অব্যাহতভাবে তথ্যপ্রযুক্তির নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
সৈয়দ মোহাম্মাদ আমিনুর রহমান কলেজের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় অবদান রাখতে হলে শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
হাসান বেনাউল ইসলাম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্যানেল আলোচনায় অন্যান্য বক্তারা আইটিতে অমিত সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে দেশের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের আইসিটিতে ক্যারিয়ার গড়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে অনলাইন কুইজে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে একজন বিজয়ী শিক্ষার্থীকে ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে একজন শিক্ষার্থীকে উই মোবাইল ফোনের সৌজন্যে একটি করে স্মার্ট মোবাইল ফোন পুরষ্কার হিসেবে দেওয়া হয়। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।