‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’ কালজয়ী গানের কথামালার মতো মানুষের পরম মমতায়, সাহায্য-সহযোগীতায় ভারতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন দৈনিক সিলেটের ডাকের সিনিয়র রিপোর্টার ও সিলেট প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কাউসার চৌধুরী। ভারতের উত্তর প্রদেশের নইডাস্হ বিশেষায়িত জেপি হসপিটালে গত আড়াই মাস ধরে চিকিৎসাধীন তিনি। সোমবার সকালে তার দেহে কিডনী ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা হবে। জটিল এই অপারেশনে সময় লাগবে কমপক্ষে ২২ ঘন্টা। সোমবার সকাল ৮ টায় শুরু হয়ে অপারেশন মঙ্গলবার ভোরে শেষ হবে। লিভার ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট প্রখাত সার্জন ডাঃ আভিদিপ চৌধুরী ও কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ বিজয় কুমার সিনহা ও সিনিয়র সার্জন অমিত কে ডেবরার নেতৃত্বে সোমবার সকালে অস্ত্রপচার (অপারেশন) শুরু করা হবে। একই সাথে তার দেহে লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট শুরু হবে। অস্ত্রপচার শেষে হাসপাতালে মাসখানেক থাকতে হবে। আল্লাহর হুকুমে হয়েতো এরপর দেশে ফিরতে পারবেন তিনি। তার সহধর্মীনির ছোটভাই সম্পর্কে শালা দিচ্ছেন লিভার ও ফুফাতো ভাই দিচ্ছেন কিডনী।তার সার্বক্ষনিক পরিচর্যায় সাথে আছেন স্ত্রী শিক্ষিকা সায়েরা বেগম, সহকর্মী সিনিয়র সাংবাদিক মুহাম্মদ তাজ উদ্দিন ও তার ভাগ্নে সিলেটের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম।
ভারতের এই চিকিৎসায় এ পর্যন্ত ৪২ লাখ খরচ হয়েছে। এর মধ্যে কেবল অপারেশন চার্জই হল ৩০ লাখ টাকা, দুজন ডোনারসহ তিনজনের টেস্টসহ সকল পরীক্ষায় মোটা অঙ্কের অর্থ বায় হয়েছে, অপারেশন শেষ করে দেশে ফেরা পর্যন্ত আরো দশ লাখ টাকা লাগবে, এজন্য বিত্তশালীদের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন সাংবাদিক কাউসার চৌধুরী বলেন, লন্ডনের বাংলা সাংবাদিকদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ফান্ড রাইজিং করা হয়, লন্ডন প্রবাসীদের দেওয়া টাকায় চিকিৎসা হচ্ছে। সিলেটের সুধী জনেরাও অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছেন, সিলেটের সাংবাদিকরাও অনেক কষ্ট করেছেন সকলের নিকট তার পরিবার কৃতজ্ঞ। তাছাড়া লন্ডনের সাংবাদিক মহিব চৌধুরী , তাজ চৌধুরী, মুহাম্মদ জুবায়ের , তাইসির মাহমুদ, ইবরাহিম খলিল , শফিকুল ইসলাম, আহাদ চৌধুরী বাবু , বাবসায়ী মনির আহমেদ এই ফান্ড রাইজিং এ অগ্রনী ভুমিকা রাখেন । চ্যানেল এস-এর মাধ্যমে ফান্ড রাইজিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়।
গত ১৯ এপ্রিল চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভারত যান সাংবাদিক কাউসার চৌধুরী। ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ জুন তার একমাত্র চাচা ওহাবুর রহমান চৌধুরীর (ময়না মিয়া) মৃত্যু হলে চাচার দাফনে অংশ নিতে পারেননি।সিলেটবাসী তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এজন্য রোগ মোকাবিলায় সাহস পান বলেছেন কাউসার চৌধুরী। তিনি সিলেটবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ।সুস্থতা কামনায় সকলের নিকট দোয়া চেয়েছে তার পরিবার। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।