পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্টানের কারণে পরিচয় এবং পরে ঠিকাদারি ব্যবসায় অংশিদার করার করার কথা বলে সিলেট নগরীতে এক মহিলা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকা ও স্বণাংলঙ্কার হাতিয়ে নিয়েছেন আব্দুল আজিজ হারুন ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। স্বামী স্ত্রীর প্রতারণার শিকার হয়ে মামলা মোকাদ্দমা করেছেন সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের সাদীপুর গ্রামের লন্ডন প্রবাসী স্ত্রী এবং নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকার ইমন টেইলার্স এন্ড ফেব্রিক্স’র মালিক ফুলনেহার বেগম। শনিবার সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ করেন। প্রতারণা, আতœসাৎ ও জালিয়াতির শিকার ফুলনেহার বেগম তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন। তিনি জানান, প্রতারক দম্পতি শুধু তার কাছ থেকে নয়, বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। এজন্য একাধিক মামলাও হয়েছে। প্রতারক দম্পতির বাড়ি ফেঞ্চুগঞ্জে এবং সোনারপাড়া নবারুন-১৩১/১ বাসার ভাড়াটিয়া হলেও তারা নিজের বাসা দাবি করে প্রতারণা করার পর সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
লিখিত বক্তব্যে ফুলনেহার জানান, তার ইমন টেইলার্স এন্ড ফেব্রিক্স এর পাশে সুরমা ট্রেডার্স দোকানের মালিক আব্দুল আজিজ হারুন। ওই সুবাদে ২০১২ সালে আব্দুল আজিজ হারুন ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের সাথে পরিচয়। মনোয়ারা বেগম দোকানের কাস্টমার হিসাবে যাতায়াত করতো। আব্দুল আজিজ হারুন ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম শীর্ষ পর্যায়ের প্রতারক তা জানতেন না দাবি করে ফুলনেহার বলেন, মনোয়ারা আমাকে প্রতিদিন বাসায় এসে বলে তার স্বামী আব্দুল আজিজ হারুন ঠিকাদারি করেন এবং আমাকে প্রস্তাব দেন ব্যবসায় পার্টনারশীপ হওয়ার জন্য। আমি মনোয়ারা বেগমের কথা বিশ্বাস করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দাগে ২৪ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা নেই। উক্ত টাকার বিপরীতে আব্দুল আজিজ চারটি চেক প্রদান করেন। টাকা না পাওয়ায় ২০১৪ সাল থেকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে।
ফুলনেহার বলেন, আমার একটি ক্যারী ক্যাব লেগুনা গাড়ী আব্দুল আজিজ হারুন ঠিকাদারী সাইটে মাসিক ১৫ হাজার টাকা পরিশোধের শর্তে ভাড়া নেয়। গাড়ীর নম্বর সুনামগঞ্জ চ-১৪০। কিন্তু ১৫ মাসের গাড়ির ভাড়া না দিয়ে গাড়িটি আত্মসাতের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে কোর্ট থেকে তা ছাড়িয়ে আনতে হয়েছে।
ফুলনেহার জানান, একদিন মনোয়ারা বেগম তার ভাইয়ের ছেলের বিবাহের দাওয়াত দেন এবং স্বর্ণের গহনা বিয়েতে ব্যবহার করার জন্য নিতে আসেন। সম্পর্কের খাতিরে তাকে গহনা ব্যবহারে জন্য দেওয়া হলে আর ফেরত দেননি মনোয়রা। পরে ফুলনেহার জানতে পারেন ওই স্বর্ণালঙ্কার বন্ধক দিয়ে তারা ১ লাথ ৩০ হাজার টাকা গ্রহন করেছে। পরে বাসা ছেড়ে তারা পালিয়ে যায়।
ফুলনেহার বলেন, তারা বাসা ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় আমার টাকা, স্বর্ণের গয়না ও গাড়ী ফেরৎ চাইতে তারা আমাকে মারধর করে। আমার আর্তচিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন বেরিয়ে আসেন, তখনি লোকজনের কাছে শুনি, এই বাসা ভাটা ইউপি চেয়ারম্যানের বাসা। তখন আব্দুল আজিজ হারুন আশাপাশের মুরব্বিগণ ও চেয়ারম্যানের সামনে পুলিশের কাছ থেকে দুই দিনের সময় নেয়। দুইদিন পর একজন লোক আমাকে কল করে বলেন, আব্দুল আজিজ হারুন রাত দুই ঘটিকার সময় চোরের মত বাসা থেকে পালিয়ে গেছে।
ওই দম্পতি এরকম প্রতারণা আরও বিভিন্ন মানুষের সাথে করেছে দাবি করে ফুলনেহার জানান, মাছের দোকানে, ফলের দোকানে, ফার্মেসীসহ বিভিন্ন দোকানে হারুন চেক দিয়ে টাকা আনে। এই ভাবে সে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। যার ফলে তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা যথাক্রমে ৯৯১/২০১৫, সিএমএম কোর্ট, সিলেট। এমএম-২ ২২১/১৫, সি আর মামলা। দায়রা বিজ্ঞ যুগ্ম মহানগর ১ম আদালত ১১৬৫/১৬, সিএমএম কোর্ট, সিলেট। দায়রা বিজ্ঞ যুগ্ম মহানগর ১ম আদালত ৯/১৬, সিএমএম কোর্ট, সিলেট। ৮৫/১৫ এডিএম কোর্ট, সুনামগঞ্জ। ৭৬/১৫ এডিএম কোর্ট, সুনামগঞ্জ। ১১২ এডিএম কোর্ট, সুনামগঞ্জ। বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সি, আর- ২৬৯। বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন আদালত সি, আর- ২৭০ রয়েছে। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি