• ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ফের গ্রেফতার চোরাকারবারী আমিনুল

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ৬, ২০১৪

স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট নগরীর কালীঘাটে অভিযান চালিয়ে লাখ টাকা মূল্যের নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ জব্ধ করেছে পুলিশ। সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানার বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বেনুর নেতৃত্বে একদল পুলিশ বৃহস্পতিবার (২৯জুন) বিকেল ৪টায় এ অভিযান চালানো হয়। প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ বিক্রির খবর পেয়ে পুলিশ কালীঘাটস্থ মুন্না ষ্টোরে অভিযান চালায়। অভিযানে ৫ বস্তা পলিথিন । আরো পাওয়া গেছে ভেজাল টেস্টি স্যালাইন , ওরস্যালাইন, ভেজাল টেস্টি অজমী, শুধু তাই নয় চোরাকারবারী আমিরুল নেত্রকোনা কালিয়াজুরী থানার আনফর আলীর ছেলে আমিনুল । সিলেটে ২০০৫ সালে পত্রিকা বিক্রি করে সংসার চালাতো আমিনুল । বর্তমানে আজ কয়েক কোটি টাকার মালিক, অল্প দিনে চোরাকারবার করে রাতারাতি কোটি পতি বনে যায় আমিনুল । শুধু তাই নয় ১৫-০১-২০১০ ইং তারিখে সিলেট হাওয়াপাড়া থেকে র‌্যাব -৯ একটি টিম তার নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের কারখানাসহ দশ লক্ষ টাকার মালামালসহ সিলগালা করেন। যা পরিবেশ আদালত সিলেট মামলা নং – ৬, ২০১০ মামলা ধারা -৬ (ক), র‌্যাব ঢুুকতে টের পেয়ে আমিনুল এবং তার কর্মচারীসহ পালিয়ে যায়। এই মামলার সি এস নং -১৫, পরবর্তীতে আবার ২০১৪ সালে দক্ষিন সুরমা থানা (বার লক্ষ আশি হাজার) টাকার নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনসহ গ্রেফতার করে সিলেটের দক্ষিন সুরমা থানা পুলিশ । পরে জামিনে বের হয়ে এসে আবার ফের ২০১৬ সালে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের কারখানা খুলে বসে সে। অনুসন্ধানে জানা যায় সিলেট জালালাবাদ থানাধীন মাসুকবাজার ব্রিজের বাম পাশে খালি ময়দানে নদীরপাড়ে পলিথিন উপাৎদন করে আসছে সে। অবৈধ পলিথিনের কারখানা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে উপাৎদন করে থাকে। সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত পলিথিন উপাৎদন করে নিজস্ব গাড়ি পরিবহন করে সিলেটের মাজনপট্টি নিয়ে আসে। তার রয়েছে কয়েকটি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের গোদাম এবং আরো বিভিন্ন খাদ্য দ্রব ভেজাল মালামালের দোকান । তার মুন্না ষ্টোর থেকে সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলের দোকানে তা বাজারজাত করা হয় । বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে চোরাকারবারী আমিনুল ভেজাল খাদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন বিক্রি করার সময় এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট কোতায়ালী থানা বন্দর বাজার পুলিশফাঁড়ির ইনচার্জ বেনু দেব নেতৃত্বে এক দল পুলিশ এই ভেজার অভিযান পরিচালনা করেন, বিপুল পরিমান ভেজাল খাদ্য সহ তাকে গ্রেফতার করেন। এব্যাপারে বেনু দেব সংবাদিকদের জানান আমি যতদিন সিলেট বন্দরবাজার এলাকায় আছি কোন ধরনের অবৈধ কাজ করার সুযোগ কেউ পাবে না। জনতার মুখে মুখে শুনা যায় খুব দায়িত্বের সাথে বন্দর এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছেন এসআই বেনু।