“ইমাম খতিব, মুসলমানদের মাঝে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানের অধিকারী, তারা মসজিদে প্রতি জুুমার দিন মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে মেহরাবে দাঁড়িয়ে কুরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে ভাষণ পেশ করে থাকেন, তাদের ভাষণে ইসলামের মূলনীতি আদর্শ কুরআন সুন্নাহ, ইসলামের ইতিহাস ঐতিহ্য যেমনি থাকে অনুরূপভাবে সন্ত্রাস নৈরাজ্য জঙ্গিবাদ এবং দেশ মানুষ পরিবেশ ও শৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের জোরালো ভূমিকা বক্তব্য থাকলে সমাজ বহু অংশে এগিয়ে যাবে। খুৎবার বক্তব্য প্রদান শুনা ওয়াজিব, মুসলিম সমাজে খুৎবার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতি জুুমার দিন লাখ লাখ মুসল্লিগণ গুরুত্ব সহকারে খুৎবা শুনে থাকেন। আর এ থেকেই মানুষ জীবনে চলার পথে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকেন” বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় কদমতলী পয়েন্ট জামে মসজিদে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ২৬ নং ওয়ার্ডে ইমাম ও মোয়াজ্জ্বিনদের ঈদ উৎসব ভাতা প্রদান অনুষ্ঠানে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন,কদমতলী এলাকার বাসিন্দা,বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবী হাজী আব্দুল মালিক মারুফ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সলর হাজী তৌফিক বকস্ লিপন,সমাজসেবী শাহনুর বকস্, আফতাব উদ্দিন শাহনাজ, সাইয়ুম বকস্,সিলেট ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব,ইমাম সমিতির ২৬ নং ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি ও কদমতলী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুল মন্নান,কদমতলী পয়েন্ট জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মজির উদ্দিন,লাল মিয়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মুহিবুর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা হিফজুর রহমান, মাওলানা মুহিবুর রহমান, মাওলানা জাকির হোসাইন, মাওলানা আমিনুল ইসলাম, মাওলানা কাওসার আহমদসহ ২৬ নং ওয়ার্ডের ভেতর অবস্থিত সবগুলো মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জি¦নগন। মাওলানা মুফতি নোমান উদ্দিনের পরিচালনায় ঈদ উৎসব ভাতা প্রদান অনুষ্ঠানে ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব তাঁর বক্তব্যে বলেন,২০১৪ ইং সালে ইমাম ও মোয়াজ্জ্বিনদের কল্যাণে সিলেট সিটি কর্পোরেশনে কাছে ইমাম সমিতির পক্ষ থেকে ঈদ উৎসব ভাতা প্রদানের জন্য আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদনের পর থেকে আজ অবধি প্রতি বছর সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ঈদ উৎসব ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি ইমামদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, ইমামরা সব সময় ঐক্যবদ্ধ থাকার পাশাপাশি যেকোনো বিষয়ে সম্মিলিতভাবে বসে কাজ করলে সবার ও সমাজের মঙ্গল হবে। ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার রোটারিয়ান হাজী তৌফিক বকস্ লিপন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ইমাম ও খতিবের সাথে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের নিবিড় ও গভীর সম্পর্ক রয়েছে। শুধুমাত্র অর্থনৈতিক দুুর্বলতা এবং প্রশাসনিক ক্ষমতা না থাকার কারণে সমাজে তাদের বক্তব্য উপদেশ শতভাগ প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে না। আর্থ সামাজিক উন্নয়নে মসজিদের ইমাম খতিবদের ভূমিকা অনেক। সমাজের বিবাহ শাদী থেকে আরম্ভ করে সব ভাল কাজের জন্য মহল্লার মানুষ তাদের নিকটই ছুটে যান। সমাজে কিছু সংখ্যক ভাল মানুষ থাকলে তার মধ্যে ইমাম ও খতিব হচ্ছে সব থেকে ভাল মানুষ ও নৈতিকতা সম্পন্ন। তারা সমাজে শ্রদ্ধা, ভালবাসা, ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য নিবেদিত একটি শ্রেণী। সমাজকে আলোকিত করতে প্রতি জুমাতেই তাদের বিষয় ভিত্তিক নানা ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায়। এ মহান পেশার মহান ব্যক্তিদের পাশে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সুযোগ সুবিধাসহ তাদের সকল সমস্যা দুর করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি। বক্তব্যে শেষে ইমাম ও মোয়াজ্জ্বিনদের হাতে ঈদ উৎসব ভাতা প্রদান করেন হাজী আব্দুল মালিক মারুফ। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।