স্টাফ রিপোর্টার : গোয়াইনঘাটে পিয়াইন নদীর উপর নির্মাণাধীন জাফলং সেতুর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৬০ মিটার দীর্ঘ এ সেতুটি নির্মাণ করছে এলজিইডি। এই সেতু নির্মিত হলে যোগাযোগ আরো সহজতর হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এই সেতুর ফলে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর ও সিলেটের সাথে জাফলংয়ের যোগাযোগ সহজতর হওয়ার পাশাপাশি ভারতের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যেরও প্রসার ঘটবে বলে মত স্থানীয়দের। সেতুর ফলে সিলেটের সাথে এই অঞ্চলের দূরত্ব কমে আসবে ১৮ কিলোমিটার।
সেতু নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এমএনও (জেভি) সূত্রে জানা যায়, সেতুটির নির্মাণ কাজও ইতিপূর্বে প্রায় ৮৫% সম্পন্ন হয়েছে। উত্তর পার্শে¦র অবশিষ্ট গার্ডার, ঢালাই, উভয় প্রান্তের সংযোগ সড়ক এবং এপ্রোচ নির্মাণের পর আগামী নভেম্বরের দিকে সেতুটির শতভাগ কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা।
গোয়াইনঘাট সদরের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, জাফলং সেতু বাস্তবায়ন হলে উপকারভোগি হবেন গোটা বৃহত্তর জৈন্তার মানুষ। স্থানীয় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধনের পাশাপাশি এ সেতুর কারণে ব্যবসা বাণিজ্য ও গোয়াইনঘাটের সবকটি পর্যটন স্পটও মানুষের দোরগোড়ায় চলে আসবে।
গোয়াইনঘাটের লেংগুড়া গ্রামের পাথর ব্যবসায়ী আলিম উদ্দিন জানান, আমাদের এখানকার হাজার হাজার মানুষ জাফলং পাথর কোয়ারীতে কাজ করে, সেতুটি বাস্তবায়ন হলে দ্রুত কোয়ারীতে যেতে পারবে শ্রমিকরা।
পিয়াইন পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক জানান, পিয়াইন নদীর জাফলং খেয়া পারাপারের যন্ত্রণা লাঘবসহ গোয়াইনঘাট সদরের সাথে যোগসূত্র স্থাপন করবে জাফলং সেতু।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আলীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম কিবরিয়া হেলাল বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু স্বপ্ন দেখায়না, স্বপ্নের বাস্তবায়নও করে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে এ সেতুর উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে এসে তা বাস্তবায়ন করেছেন আমাদের স্থানীয় সাংসদ ইমরান আহমদ।
গোয়াইনঘাট সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হক বলেন, জাফলং সেতু গোটা উত্তর সিলেটের উন্নত সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি রুল মডেল।
স্থানীয় সাংসদ ইমরান আহমদ বলেন, আমি সব সময়ই এই অঞ্চলের মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ে সচেষ্ট, চেষ্টা করি জনগণের দোরগোড়ায় থেকে তাদের সেবা করার। আজকে জাফলং সেতু তারই প্রমাণ।