• ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বিএনপির ভিশনে আ’লীগ ভীত : এরশাদ

sylhetsurma.com
প্রকাশিত মে ২৪, ২০১৭

সিলেট সুরমা ডেস্ক : বিএনপির ভিশনে আওয়ামী লীগ ভীত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এরশাদ এমন মন্তব্য করেন।  রাজশাহী শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।    এরশাদ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করেছেন। বাকি আছে ১২ বছর। আমরা একটা কথাও বলিনি। আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা বলছেন- আমাদের কথা নকল করে বেগম জিয়া ভিশন দিয়েছেন। কত কথা হচ্ছে! আওয়ামী লীগ যেন ভীত হয়ে গেছে। এদিকে তীব্র দাবদাহ, রাজনীতিতেও তাপদাহ। রাজনীতিতে বাকযুদ্ধ চলছে।’   জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যদি সেই শক্তি থাকত, চুপ করে থাকত। দেখত, বেগম জিয়া কী করতে পারেন ২০৩০ সালে। ২০৩০ তো অনেক দূরে। এমন বাকযুদ্ধে আওয়ামী লীগের দুর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে। আমরা নির্বাচন করবো। আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই না। আমরা নিয়মন্তান্ত্রিকভাবে একটা সুষ্ঠু পরিবেশের মধ্যে নির্বাচন করতে চাই এবং ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে চাই।’
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমাদের সামনে ভিশন একটা আছে। খালেদা জিয়ার ভিশন ২০৩০, আমাদের ভিশন দুটি। প্রাদেশিক সরকার আর নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন। একটা নির্বাচন আজ পর্যন্ত বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়। আমরা এমন নির্বাচন প্রথা আনতে চাই, যে নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন করতে পারবে না। আর প্রাদেশিক সরকার করতে চাই। প্রাদেশিক সরকারে রাজশাহী হবে একটা প্রদেশ। এর নাম হবে ‘বরেন্দ্র প্রদেশ’।’
সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন- পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সাল চিশতি, মজিবর রহমান সেন্টু, সুনীল শুভ রায়, মেজর (অব.) খালেদ আকতার, কাজী ফিরোজ রশিদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন রিন্টু। ২০১৪ সাল থেকে তারা দায়িত্ব পালন করছেন। চেয়ারম্যানের নির্দেশনা মোতাবেক জেলা জাতীয় পার্টি তিন বছর পর এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
সম্মেলনের পার্টির চেয়ারম্যানের জেলার নতুন সভাপতি ও সম্পাদকের নাম ঘোষণা করার কথা ছিল। তবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তা করেননি। পরবর্তী সময়ে জাতীয় পার্টির জেলার সভাপতি-সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে বলে অনুষ্ঠানে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।