স্টাফ রিপোর্টার :
‘‘এক হাতে রিং-ঢালী,অন্য হাতে কলম, মেকানিক গড়বে জাতি,করবে সমাজ সচেতন’’ এই শ্লোগান কে সামনে রেখে ১৭২৭ জন মেকানিক সদস্যকে নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলো সিলেট জেলা মোটর ওয়ার্কসপ মেকানিক ইউনিয়ন। ইউনিয়নেরই এক সদস্য সমাজ সচেতন তরুন মেকানিক প্রজন্মের আলোকিত মুখ বাবলু হোসেন হৃদয়। পরিশ্রমী,মেধাবী আর কর্মঠ বাবলু নিজের চেষ্ঠা ও শ্রম দিয়ে আজকের নব-গঠিত সিলেট জেলা মটর ওয়ার্কসপ মেকানিক ইউনিয়ন রেজি নং চট্র-২৬২৪ এর কার্যনির্বাহী কমিটির ত্রি বার্ষিক ২০১৭-২০২০ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন। গত ১৯ মে শুক্রবার উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে সভাপতি পদে এমাদ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ওয়ালিউল্লাহ খন্দকার বিপ্লব নির্বাচিত হয়েছেন।
কদমতলীস্থ সংগঠনের কার্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে সংগঠনের ১৭২৭ জন সদস্যের মধ্যে ১১৯৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। বাবলু হোসেন হৃদয় নির্বাচনের আগেই তার কোনো প্রতিদ্বন্দি না থাকায় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদ লাভ করেন। বাবলু হোসেন হৃদয় কদমতলী এলাকার মনির আহমেদের পুত্র। ভাই বোনদের মধ্যে সে ২য়। শিক্ষিত ও মেধাবী বাবলু আজ থেকে কয়েক বছর আগে জীবনের তাগিতে হাতে তুলে নেন রিং-ঢালী। কঠিন পরিশ্রম আর মানুষের সাথে ভাল ব্যবহারের মাধ্যমে বাবলু সবার মন জয় করেন। কদমতলীতে গড়ে তুলেন মদিনা হোন্ডা ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ওয়ার্কসপ ও মোটর সাইকেলের সো-রুম। বাবলু এখানেই থেমে থাকেননি। বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে রেখেছেন মেধার স্বাক্ষর। বাবলু একাধারে সিলেট জেলা মটরসাইকেল মেকানিক ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের প্রচার সম্পাদক, জেলা মোটর ওয়ার্কসপ মেকানিক ইউনিয়নের জকিগঞ্জ রোড শাখার সাধারণ সম্পাদক, দক্ষিণ সুরমার ঐতিহ্যবাহী স্বর্নশিখা সমাজকল্যাণ সমিতির সাবেক সফল ক্রীড়া সম্পাদক, শিশু শ্রমিকদের শিক্ষা ও জীবন মান উন্নয়ন প্রকল্প আকবেট কদমতলী সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও বাবলু। এলাকার সাধারণ মানুষের সেবা করার পাশাপাশি বাবলু হোসেন হৃদয় সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন কর্ম তৎপরতা। এক সময়ে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ভাল ফুটবল খেলোয়ার ছিলেন তিনি। এখনো যেকোনো ক্রীড়া টুর্নামেন্টে তার সরব উপস্থিতি লক্ষণীয়। পেশার পাশাপাশি বাবলু কদমতলী এলাকার ভেতর রাস্তা ও গ্যাস সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন প্রায় ২২ টি পরিবারের দুঃখ দুর্দশা লাঘবের জন্য প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরে আবেদনের পাশাপাশি উন্নয়ন কর্মকান্ড তড়ানিন্ত করার কাজে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার এ চেষ্ঠায় অচিরেই ২২ টি পরিবারের মুখে হাসি ফুটবে। বাবলু হোসেন হৃদয়কে অতিতে অনেক নির্যাতন ও মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে হয়রাণী করা হয়েছে। তারপরও সে থেমে থাকেনি। বাবলু হোসেন হৃদয় জানান,তিনি যতোদিন বেচেঁ থাকবেন, মেকানিক ভাইদের কল্যাণে কাজ করার পাশাপাশি এলাকার সাধারণ মানুষের সেবা করে যাবেন।