• ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

জৈন্তাপুরে থানা হাজতে যুবকের মৃত্যু : ২ পুলিশ সদস্য সাময়িক বরখাস্ত : পুলিশের দাবি আত্মহত্যা

sylhetsurma.com
প্রকাশিত মে ২০, ২০১৭

সিলেট সুরমা ডেস্ক : সিলেটের জৈন্তাপুরে থানা হেফাজতের ভেতরে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।  এদিকে থানার অভ্যন্তরে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় শনিবার বেলা সাড়ে ৩ টা থেকে প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দ। জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আনোয়ার জাহিদ ২ পুলিশ সদস্যের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান- বরখাস্ত করা দুই পুলিশ সদস্যের একজন ওই রাতে দায়িত্বপালনকারি ডিউটি অফিসার এসআই জয়নাল এবং অপরজন হাজতের সামনে দায়িত্বপালনকারি পুলিশ সদস্য কনস্টেবল আখতার। এর আগে শুক্রবার ভোররাতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নজরুল ইসলাম বাবু থানা হাজতের ভিতরেই মারা যান। পুলিশের দাবি নজরুল ইসলাম হাজতের ভিতরেই আত্মহত্যা করেছেন। তবে পরিবারের দাবি বাবুকে থানা হেফাজতে নির্যাতন করে হত্যা করা হতে পারে। শুক্রবার ভোররাতে জৈন্তাপুর থানা হেফাজতে এ ঘটনা ঘটে। নজরুল ইসলাম বাবু জৈন্তাপুর উপজেলার কহাইগড় গ্রামের মৃত আবদুর জলিলের ছেলে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বটেশ্বর এলাকা থেকে নজরুল ইসলাম বাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার ভোর রাতে থানা হাজতের ভেতর তার মরদেহ পাওয়া যায়।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা জানান, স্ত্রীর দায়ের করা মামলার আসামি ছিল বাবু। তাকে গ্রেফতার করে থানা হাজতে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার ভোর পৌণে ৫টার দিকে সে থানা হাজতের ভেতরে আত্মহত্যা করে। তাকে কোন রকম নির্যাতন করা হয়নি। আত্মহত্যার দৃশ্য ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায়ও রেকর্ড হয়েছে। নজরুল ইসলাম বাবুর চাচা মদরিছ আলী ও বোন জামাই লুদু মিয়ার দাবি বাবুকে নির্যাতন করে মেরে ফেলে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হতে পারে। পুলিশ প্রহরায় থাকা থানা হাজতের ভেতর আসামি আত্মহত্যা করে কিভাবে- এমন প্রশ্ন তুলেন তারা। প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৬ নভেম্বর জৈন্তাপুরের ঘিলাতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা নাসরিন ফাতেমাকে বিয়ে করেন নজরুল ইসলাম বাবু। বিয়ের পর তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। একপর্যায়ে নাসরিন ফাতেমা পিত্রালয়ে চলে যান এবং নির্যাতনের অভিযোগ এনে বাবুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।