সিলেট সুরমা ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত ‘ভিশন-২০৩০’ জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাকে পৃষ্ঠপোষকতা করার ভিশন। আজ শনিবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চের কাজী বশির উদ্দিন মিলনায়তনে চতুর্থ শ্রেণী সরকারি কর্মচারী সমিতির কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা উগ্রবাদীদের নিয়ে খালেদা জিয়ার ভিশনে কিছু নেই। সাম্প্রদায়িকতার কোন কথা নেই। তার মানে, এ দেশে জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা উগ্রবাদীদের পৃষ্টপোষকতা করছে বিএনপি। এই ভিশন ঘোষণার মাধ্যমে এটাই তারা প্রমাণ করে দিয়েছেন।’ সরকারি কর্মচারী সমিতির আহবায়ক আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এনামুল হক শামীম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহনের প্রস্তাবে বিএনপির বিরোধিতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আজকে বিএনপি যে কোন ভালো প্রস্তাব রাখলেই মানতে রাজি না। সব কিছুতেই তারা(বিএনপি) বলে মানি না, মানবো না। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হবে কি না সেটা দেখবে নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের মতামত জানতে চাইলে আমরা আমাদের মতামত দেব। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সরকারি দল মনে করি ইভিএম পদ্ধতিতে নারায়নগঞ্জে সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। সেই নির্বাচন নিয়ে কেউ কোন কথা বলে নি। তাই এই পদ্ধতি নিঃস্বন্দেহে ভালো পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ভোট গ্রহন নির্ভূল হবে। আমরা ইভিএম এ ভোট গ্রহনকে সমর্থন করি। নির্বাচন কালীন সহায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রহসনের গণভোট দিয়েছিল। সেই ভোটে শতকরা ৯৯ ভাগ ভোট হাঁ তে পড়েছিল। ১৫ ফেব্রুয়ারীর নির্বাচন কোন গণতন্ত্র ছিল। ৩০মার্চ জনরোষে তারা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। আর সেই নির্বাচন তো শেখ হাসিনার অধীনে হবে না। শেখ হাসিনা থাকবেন নির্বাচন কালিন সরকারের প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনারের অধীনে। তখন সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন চলাকালীন সকল প্রশাসন থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। পুলিশ, প্রশাসন সবকিছু থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকার রুটিন ওয়ার্ক করবে। তাই এটা মানতে অসুবিধা কোথায়?