সিলেট সুরমা ডেস্ক : খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত যদি আবার ক্ষমতায় আসে তবে আহসান উল্লাহ মাস্টারের মত আওয়ামী লীগের সৎ ও আদর্শবান নেতাদের হত্যা করবে। বিএনপি আবারো ২০৩০ সালের ভিশন নামে নতুন ধান্ধাবাজির কর্মসূচি দিয়ে ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে আসার জন্য বিএনপিকে কোন রকম তোষামোদ করা হবে না। আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
“সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত সমাজ গঠনে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা” শীর্ষক এই আলোচনা ও স্মরণ সভার মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
পরিষদের সভাপতি এডভোকেট আবদুল বাতেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান।
এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন গাজীপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আখতারউজ্জামান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া, দৈনিক বর্তমানের উপদেষ্টা সম্পাদক স্বপন কুমার সাহা সাবেক এমপি ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
কামরুল ইসলাম বলেন, তৃণমূল পর্যায় থেকে বারবার নির্বাচিত হয়ে জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়ে আহসান উল্লাহ মাস্টার যখন দেশ ও জাতির জন্য কাজ করে জননেতা হয়ে ওঠেন তখন তাকে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা হত্যা করে। জননেতা হিসেবে তার অবদান দেশবাসী কোনদিন ভুলবে না।
নতুন ধান্ধাবাজির কর্মসূচি দিয়ে বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করার নানা কৌশল করছে। কিন্তু তা কোন দিন সফল হতে দেয়া যাবে না।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে বর্তমান সরকারের যেসব কর্মসূচি আজ কার্যকর হয়েছে সে ব্যাপারে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের বেশ অবদান রয়েছে। তিনি ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের একজন আদশের্র নিষ্ঠাবান কর্মী। সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত সমাজ গঠনে তার বিরাট অবদান রয়েছে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে তাঁর নীতি ও আদর্শ থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
আখতারউজ্জামান বলেন, অবিলম্বে আহসান উল্লাহ মাস্টারের হত্যা মামলার রায় কার্যকরের উদ্যোগ নিতে হবে।
আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, শ্রমিকনেতা হিসেবে তিনি সবসময় সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। আজ তার মত আদর্শবান নেতার বড় প্রয়োজন ছিল।
স্বপন কুমার সাহা বলেন, শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মাস্টার অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছিলেন সোচ্চার।
২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মদদ পুষ্ট একদল সন্ত্রাসী জনসভায় প্রকাশ্যে দিবালোকে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। এ উপলক্ষে ঢাকা ও গাজীপুরে আলোচনা ও স্মরণ সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।