সিলেট সুরমা ডেস্ক : শাহজালাল উপশহর থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে তরুণীকে অপহরণ করা হয়নি। বরং তরুনীটি স্বেচ্ছায় তার স্বামীর সাথে পালিয়ে ছিলেন। ওইদিন রাতেই পুলিশ তাদের দুজনকে উদ্ধার করেছে। তারা দুজনেই বর্তমানে শাহপরাণ থানায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তাদের আদলতে চালান দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, শহরতলীর মিরাপাড়া এলাকার সোহেল আরমানের সাথে ৩ বছর আগে বিয়ে হয় ওসমানীনগর উপজেলার রাইকদাঁড়া গ্রামের জান্নাতুল ফেরদৌস মৃদুলের (২১)। নগরীর ইসলামপুর এলাকায় মামার বাড়ি আসা যাওয়ার সময় সোহেল আরমানের সাথে তার পরিচয়। তারা পরস্পরের প্রেমে পড়েন এবং গোপনে বিয়েও করেন। সোহেলের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। এ বিয়ে মৃদুলের পরিবার মেনে নেয়নি। তারা তাকে অন্যত্র বিয়ে দিতে চেষ্টা করছেন। সোহেল মৃদুলকে ফিরে পেতে কিছুদিন আগে আদলতে মামলাও করেছে বলে জানা গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে মৃদুল তার মাকে নিয়ে সিএনজি অটোরিকশাযোগে শাহজালাল উপশহরস্থ বি ব্লকের এবিসি পয়েন্ট অতিক্রম করার সময় পুলিশ গাড়ীটি থামিয়ে কাগজপত্র চেক করতে থাকে। হঠাৎ কয়েকটি মোটর সাইকেলে করে একদল যুবক এসে মৃদুলকে নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে শাহপরাণ থানার পুলিশ তাদের দুজনকে উদ্ধার করে। এখন তাদের আদালতে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃদুল এবং সোহেলের বিয়ের কাগজপত্র (কাবিন) ও আছে। মৃদুল স্বেচ্ছায় তার স্বামীর সাথে গিয়েছেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন জানিয়েছেন, ওদের বিয়ের কাগজপত্র আছে। তবে আমরা তাদের আদালতে হস্তান্তর করবো। তাদের ব্যাপারে সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে, ঘটনার পরপরই তরুণী অপহরণে প্রত্যক্ষ মদদের অভিযোগে শাহপরান থানার এস আই নুরুলের শাস্তি ও বরখাস্তের দাবিতে এবং অবিলম্বে অপহৃতা তরুণীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের দাবীতে শাহজালাল উপশহরের বি ব্লক এবং এবিসি পয়েন্টের রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয়। পরে রাতেই তরুণীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।