• ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

মালনিছড়া চা বাগানে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে (সাময়িক বরখাস্ত) পুলিশ আটক

sylhetsurma.com
প্রকাশিত এপ্রিল ২৫, ২০১৭

সিলেট সুরমা ডেস্ক : শহরতলীর মালনিছড়ায় রাবার শ্রমিক নেতা সুজন আহমদের কাছে গত কয়েকদিন থেকে গ্রেফতারের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাদাবি করে আসছে সিলেট আরআরএফ’র সাসপেন্ড (সাময়িক বরখাস্ত) পুলিশ কনস্টেবল নং (৬৬৫) মনিরুজ্জামান। সোমবার সকালে মনিরুজ্জামান মালনিছড়া চা বাগানের ভেতরে গিয়ে টাকা আনতে গেলে সেখানে শ্রমিকরা তাকে আটক করে। এ সময় শ্রমিকরা তার পরিচয় জানতে চাইলে কখন সিআইডিতে কাজ করে বলে জানালেও কোন পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি সে। এর পর শ্রমিকরা তাকে আটক করে উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। শ্রমিক নেতা সুজন আহমদ সিলেট সদর উপজেলার মাখড়খলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সুন্দর আলীর ছেলে।
পুলিশ সূত্র জানায়, এর আগেও মনিরুজ্জামান বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হয়ে জেলও খেটেছেন। সে সিলেট আরআরএফ’র কনস্টেবল নং (৬৬৫) মনিরুজ্জামানকে মাদক সেবনের দায়ে ২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল কমাড্যান্ট (পুলিশ সুপার) সাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে তাকে আরআরএফ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
রাবার শ্রমিক শামীম আহমদ বলেন, সিআইডি পরিচয় দিয়ে মনিরুজ্জামান নামের ওই ব্যক্তি শ্রমিকদের কাছ থেকে মামলার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন চাঁদা দাবি করে আসছিল। প্রায় সময় তিনি সিএনজি অটোরিকশা যোগে এসে শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যেতেন।
শ্রমিক নেতা সুজন জানান, গত কয়েকদিন পূর্বে আমার মোবাইল ফোনে ফোন করে সিআইডি পরিচয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে বলে চাঁদা দাবি করেন মনিরুজ্জামান। তার কথাবার্তায় সন্দেহ হয়। এরপর তাকে গতকাল সোমবার সকালে তাকে টাকা নেয়ার জন্য বলা হলে তিনি সিএনজি অটোরিক্সা যোগে হিলুয়া ছড়ার সামন আসেন। তিনি আরও জানান, এরপর তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি কোন পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি। এ সময় শ্রমিকরা তাকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেন। এঘটনায় থানায় আমার ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবেন।
মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার জেদান আল মুসা (গণমাধ্যম) জানান, পুলিশ পরিচয়ে সুজন নামের এক শ্রমিকের কাছ থেকে চাঁদা নেয়ার সময় তাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগেও সে একাধিকবার জেল খেটেছে।