সিলেট সুরমা ডেস্ক : পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক জঙ্গিবাদ দমন এবং মাদক নির্মূলে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আইজিপি সোমবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
সভায় সকল পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশ সুপার, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জঙ্গি এবং মাদক আমাদের মূল সমস্যা উল্লেখ করে পুলিশ প্রধান বলেন, জঙ্গিবাদ দমন এবং মাদক নির্মূল বর্তমানে পুলিশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।
অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল উল্লেখ করে আইজিপি এ অবস্থা ধরে রাখতে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
এ কে এম শহীদুল হক বলেন, মাদক দ্রব্যের কুফল সম্পর্কে সর্বস্তরের জনগণের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে। মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ব্যক্তিরা যে দলের হোক না কেন তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে মাদকের কুফল সম্পর্কে প্রচারণা চালিয়ে মাদক বিরোধী আন্দোলনকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে।
আইজিপি প্রতিটি অপহরণের ঘটনার মামলা রেকর্ড এবং তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, আমাদের সমাজে মেয়েরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হন। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। আইজিপি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা নিবিড়ভাবে নিয়মিত মনিটর করার জন্য জেলা পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেন।
সভায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) মোঃ হুমায়ুন কবির জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত গত ৩মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি তুলে ধরেন। সভায় জঙ্গি হামলা, অপহরণ, খুন,ডাকাতি, ছিনতাই, এসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণ, নারী ও শিশু পাচার, অস্ত্র, মাদকদ্রব্য ও বিষ্ফোরক উদ্ধার, সড়ক দুর্ঘটনা, গাড়ি চুরি, রাজনৈতিক সহিংসতা, অপমৃত্যু মামলাসহ দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া, অতিরিক্ত আইজিপি (অর্থ) মোঃ মইনুর রহমান চৌধুরী, রেলওয়ে রেঞ্জের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ আবুল কাশেম, ডিআইজি (অর্থ) এ কে এম শহিদুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি (সিটি) মোঃ আমিনুল ইসলাম, এআইজি (কনফিডেন্সিয়াল) মোঃ মনিরুজ্জামান, সিআইডির এসএস মোল্যা নজরুল ইসলাম প্রমুখ ব্যক্তব্য রাখেন।
এসবির অতিরিক্ত আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন, রেক্টর (অতিরিক্ত আইজিপি) মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন ও অপারেশনস্) মোঃ মোখলেসুর রহমান, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, পুলিশ টেলিকমের অতিরিক্ত আইজিপি বিনয় কৃষ্ণ বালা, এপিবিএন’র অতিরিক্ত আইজিপি সিদ্দিকুর রহমান, শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ নওশের আলী এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।