• ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

অপরাধীদের অপ-তৎপরতা রোধে সবাইকে এক যোগে কাজ করতে হবে : উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) বাসু দেব বণিক

sylhetsurma.com
প্রকাশিত এপ্রিল ৮, ২০১৭

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) বাসু দেব বণিক বলেছেন, জঙ্গি কিংবা অপরাধীদের অপ-তৎপরতা রোধে সবাইকে এক যোগে কাজ করতে হবে। জঙ্গিদের অবস্থান নিশ্চিত করতে কিংবা সনাক্ত করতে হলে ভাড়াটিয়া বাসার মালিকদের আরো সচেতন হতে হবে। অপরিচিত কাউকে বাসা ভাড়া দেওয়ার পূর্বে এসএমপি থেকে প্রদান করা ভাড়াটিয়াদের তথ্য ফরমে ভাড়াটিয়ার ভোটার আইডি,ছবিসহ সঠিকভাবে পূরণ করে ঐ ফরম নিকটস্থ থানা কিংবা ফাঁিড়তে জমা দিতে হবে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ডের ঝালপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসএমপি ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত অপরাধ বিরোধী সচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, এসএমপি থেকে প্রদান করা ভাড়াটিয়াদের তথ্য ফরমে পরিপূর্ণ তথ্য ও ছবিসহ সংগ্রহের কাজ করলে শুধু নিজের জন্য নয়,পাড়া মহল্লা এমনকি দেশের কল্যাণে আপনি এ দায়িত্ব পালন করলেন। তখন জঙ্গি নামক দুবৃর্ত্ত¡রা কারো ক্ষতি কিংবা আস্তানা গড়তে পারবেনা। বর্তমানে গুটিকয়েক লোক শান্তির জনপদ দক্ষিণ সুরমায় আতংক সৃষ্ঠির চেষ্ঠা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অক্লান্ত চেষ্ঠা আর প্রতিরোধের কারণে ঐ সব দুবৃর্ত্ত্বরা তাদের হীন কর্মকান্ড চালাতে পারেনি। তারপর ও সচেতনতার জন্য আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। অপরিচিত কারো গতিবিধি রহস্যজনক মনে হলে তাৎক্ষনিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে বিষয়টি অবহিত করতে হবে। সাধারণ মানুষের সেবা প্রদান কিংবা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে, পুলিশের সাথে সবাই ঐক্যেবদ্ধ হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলতে হবে। সমাজ ও দেশের জন্য ক্ষতিকর কাউকে ছাড় দিতে নেই। অপরাধ দমনে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। জনগণ সচেতন হলে বিভিন্ন অপরাধ এমনিতেই কমে যাবে। বর্তমানে দক্ষিণ সুরমায় মাদক ও ভারতীয় তীর খেলার অভিযোগ উঠেছে। মাদকের হাত থেকে যুব-সমাজকে বাচাঁতে হলে মাদক আস্তানা চিহ্নিত করে পুলিশের সাথে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে হবে। ভারতীয় তীর খেলা বন্ধে প্রতিটি পরিবারের অভিবাবকেরা আরো সচেতন হতে হবে। তাদের সন্তানরা কোথায় যাচ্ছে, কি করছে ? সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সোস্যাল মিডিয়া (ফেসবুক) টুইটার,ইমো,ওয়াটস্এ্যাপ দিয়ে অপরাধীরা তাদের জনবল বাড়াতে চেষ্ঠা করছে। আপনাদের সন্তানরা যেনো কোনোভাবেই এসব অপরাধীদের খপ্পরে না পড়ে, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। তীর খেলার আয়োজকরা গোপনে ইন্টার নেটের মাধ্যমে তাদের এই জোয়ার ব্যবসা পরিচালনা করছে। পুলিশ সাম্প্রতিক সময়ে তীর খেলার বিরুদ্ধে আরো কঠোর হচ্ছে। যেখানেই এসব জোয়ারীদের অবস্থান দেখবেন, তখনই পুলিশকে এ তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন।  দক্ষিণ সুরমা থানার এসআই ও দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁিড়র ইনচার্জ রিপন দাসের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অপরাধ বিরোধী সচেতনতামূলক সভায় আরো বক্তব্যে রাখেন,এসএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) জিদান আল মুসা,এসি দক্ষিণ মোস্তাফিজুর রহমান,দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশীদ হারুন। এলাকাবাসীর মধ্যে বক্তব্যে রাখেন,সমাজসেবী ও মুরব্বী হাজী জিয়াউল ইসলাম,হাজী আলী ফরিদ,বাবুল মিয়া,কয়ছর রশীদ,আমিরুল ইসলাম,সমাজসেবী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এম এ ছাত্তার মামুন,আব্বাস জালালী,তরুন সংগঠক দুলাল আহমদ,শাহ আলম জুনেদ,কওছর আহমদ,আতাউর রহমান বাচ্ছু। অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সালেহ আহমদ,দ্বারা মিয়া,চঞ্চল,শামীম,শাহীন,ভাড়াটিয়া বাসার মালিক মারুফ আহমদ,সায়েম আহমদ,পারভেজ,কয়েছ আহমদ,আজমল আলীসহ এলাকার প্রায় দুই শতাধিক মানুষ। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।