সিলেট সুরমা ডেস্ক : মৌলভীবাজারের নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন হিটব্যাক’ সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে। জেলার অন্য জঙ্গি আস্তানা বড়হাটে শুক্রবার ভোরে অভিযান শুরু করবে সোয়াট। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়ন কমপ্লেক্সে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানান পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, জঙ্গি আস্তানায় চালানো অভিযানের পর ভেতরে বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন ‘সাত-আটটি’ লাশের অংশ দেখা গেছে। শুক্রবার (৩১ মার্চ) অপর আস্তানা পৌরশহরের বড়হাটে অভিযান চালাবে সোয়াট ও সিটিসি। সে লক্ষে রাতেই সোয়াতের একটি টিম এলাকা পর্যবেক্ষন করেছে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে দেখা গেছে, বড়হাটের আস্তানায় অভিযানের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বড়হাটের জঙ্গি আস্তানা ও আশপাশের এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। দুপুর থেকেই জঙ্গি আস্তানা সংলগ্ন এলাকাটি রেকি করা হয়েছে। এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শহরের প্রবেশ মুখের প্রতিটি রাস্তায় চেক পোষ্ট বসানো হয়েছে। জনসাধারণকে নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করছে পুলিশ। মৌলভীবাজারের ওই দুটি জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পেয়ে বুধবার ভোররাতেই অভিযান চালায় পুলিশ। পরে সন্ধ্যায় পুলিশের সাথে যোগ দেয় সোয়াট, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান, সিটিটিসিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে সদর উপজেলার ১ নং খলিলপুর ইউনিয়নের নাসিরপুরের আস্তানায় মঙ্গলবার বিকেলেই অভিযান চালায় সোয়াট টিম। আলোক স্বল্পতার জন্য ওইদিন আস্তানাটির অভিযান শেষ করতে পারেনি তারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে আস্তানাটির ভিতরে প্রবেশ করে নারী-শিশুসহ ৭-৮ জন জঙ্গীর ক্ষত-বিক্ষত লাশ দেখতে পায় সোয়াট। তবে তাদের সঠিক পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। নিহত জঙ্গিরা নব্য জেএমবির বলেও ধারণা করা হচ্ছে বলে প্রেস বিফ্রিংয়ে জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম’র (সিটিটিসি) প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম।