সিলেট সুরমা ডেস্ক:
দক্ষিণ সুরমার পাঠানপাড়া-গোটাটিকর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সামনে পৃথক বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে দুজনের মৃত্যুর পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের মধ্যে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৬ জনে দাড়িয়েছে।
সর্বশেষ এ তালিকায় যুক্ত হয়েছেন সিলেটের জালালাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম। রাত সোয়া ২টার দিকে ওসমানী হাসপাতালের কর্ত্যব্যরত ডাক্তাররা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুছা।
এরআগে রাত পৌনে ২টার দিকে বোমা হামলায় আহত দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির উপ পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল ফাহিম-কে মৃত ঘোষণা করেন।
শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭ টার দিকে একইস্থানে কিছুক্ষণ পর পর এ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হচ্ছেন- সিটিএসপি’র ইন্সপেক্টর মনির ও ইন্সপেক্টর আবু কয়ছর, স্থানীয় ঝালোপাড়ার বাসিন্দা ছাত্রলীগ কর্মী অহিদুল ইসলাম অপু এবং দক্ষিণ সুরমার বাসিন্দা ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম।
আহতরা হচ্ছেন- সেনাবানির কর্ণেল পদমর্যদার এক কর্মকর্তা,র্যাব সদস্য আব্দুর রহমান, দক্ষিণ সুরমার ওসি হারুনুর রশিদ, পুলিশ সদস্য মিজানুর রহমান, যুগান্তরের সাংবাদিক আজাদ, দৈনিক, মানচিত্র পত্রিকার ফটোসাংবাদিক আজমল আলী, পথচারী শিমুল কর, নূরুল ইসলাম, শিরিন আহমদ, মাহমুদ আলী, রহমান, আব্দুল লতিফ, নাজিম উদ্দিন, মস্তাক, হোসেন আহমদ, আল সাফি ও গাড়ী চালক মামুন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে এবং অন্যান্য আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের সিলেট ওসমানী হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, আহতদের দেখতে ওসমানী হাসপাতালে ছুটে যান আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।