সিলেট সুরমা ডেস্ক : সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়িতে পৃথক দু’টি বোমা বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় পুলিশসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪-এ পৌঁছেছে। আরও কয়েকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শনিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা পৌনে ৭টা ও রাত ৮টায় বোমা দু’টি বিস্ফোরিত হয়। প্রথম বোমাটি জঙ্গিদের হামলার মাধ্যমে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গোটাটিকর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা সংলগ্ন পুলিশ চেকপোস্টে বিস্ফোরিত হয় এবং দ্বিতীয়টি উদ্ধারের পর নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে এর বিস্ফোরণ ঘটে।
সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার গোলাম কিবরিয়া সাংবাদিকদের বলেন, বিস্ফোরণে এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
এর আগে তাৎক্ষণিকভাবে তিনজনের নিহত হওয়ার বিষয়টি এসএমপির উপ পুলিশ কমিশনার জেদান আল মুসা নিশ্চিত করেছিলেন।
নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- পুলিশের পরিদর্শক চৌধুরী মো. কয়সার, কলেজছাত্র অহিদুল ইসলাম অপু ও নগরীর দাঁড়িয়াপাড়ার বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম (৩৮)। নিহত অপরজনের বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর।
সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার রুকনুদ্দিন জানান, বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই অপুর মৃত্যু হয়।সিলেটের মদনমোহন কলেজের বিবিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি।
আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরিদর্শক কয়সার মারা যান। কয়সার সিলেট আদালত পুলিশের পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আহতদের মধ্যে র্যাব ৯ এর লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ ও মেজর আজাদ, সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মনিরুল ইসলাম ও দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি হারুনুর রশিদ রয়েছেন। এদের মধ্যে দুই র্যাব কর্মকর্তা ও ডিবির ওসি মনিরুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
বিস্ফোরণে আহত আরও ১৭ জন ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা হলেন- মোস্তাক আহমেদ, নাজিমউদ্দিন, রোমেল আহমেদ, অহিদুল ইসলাম, ইসলাম আহমেদ, নুরুল আলম, বিপ্লব হোসেন, আব্দুর রহিম, সত্তারউদ্দিন, রাহিম মিয়া, হোসেন আহমেদ, মামুন আহমেদ, ফারুক মিয়া, সালাউদ্দিন শিপার, গুলজার আহমেদ, রিমন আহমেদ ও আজমল আলী।
দুই বিস্ফোরণে আহত অন্তত ৩৫ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার আতিয়া মহলে দুই দিন ধরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ নামের এ অভিযান পরিচালনা করছে সেনাবাহিনীর প্যারাকমান্ডো।