স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দর থেকে আজ বুধবার চালু হচ্ছে সরাসরি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। বিকেলে ওসমানী বিমানবন্দর থেকে দুবাইয়ের একটি ফ্লাইট দুবাইয়ের উদ্দেশে রওয়ানা হবে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ওই ফ্লাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
এর ফলে সরাসরি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য ১৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান হচ্ছে সিলেটের যাত্রীদের। আন্তর্জাতিক ঘোষণার প্রায় ১৮ বছর পর এই বিমানবন্দর থেকে বিদেশি কোনো উড়োজাহাজের সরাসরি ফ্লাইট চালু হচ্ছে। এর আগে আরেক দফা ফ্লাই দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হলেও একদিন পরই তা বন্ধ হয়ে যায়।
তবে এবার বন্ধ হওয়ার কোনো শঙ্কা নেই জানিয়ে ফ্লাই দুবাইয়ের সিলেটের স্টেশন ম্যানেজার মাসুম মিয়া বলেন, ২০১৫ সালের ১ মে ওসমানী বিমানবন্দরে অবরতরণ করে ফ্লাই দুবাই। কিন্তু গ্রাউন্ড সার্ভিস না পাওয়ায় ওইদিনের পর আর ফ্লাইট চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে এবার রিজেন্ট এয়ারওয়েজের সাথে আমাদের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের চুক্তি হয়েছে। ফলে আজ বুধবার ১৫ মার্চ থেকে ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, প্রথম ৩ মাস ওসমানী বিমানবন্দর থেকে সপ্তাহে পাঁচদিন দুবাই, কাতার, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ফ্লাইট পরিচালিত হবে। ৩ মাস পর সপ্তাহে সাতদিনই ফ্লাইট থাকবে।
ওসমানী বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, ১৯৯৮ সালের ২০ ডিসেম্বর ওসমানী বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে উন্নীত করা হয়। কেবল ফ্লাই দুবাই নয়, এয়ার এরাবিয়া, জেট এয়ারসহ কয়েকটি বিদেশি কোম্পানি সিলেট থেকে সরাসরি ফ্লাইট চালুর প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। ওসমানী থেকে বাংলাদেশ বিমানের সিলেট থেকে যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দরে সরাসরি ফ্লাইট চালু চলেও ২০১৪ সালে কুয়াশার অজুহাত দেখিয়ে বিমানও সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়। প্রবাসীদের দাবির মুখে ২০১৫ সালে প্রায় ৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে ওসমানী বিমানবন্দরে স্থাপিত হয় রিফুয়েলিং স্টেশন। গত বছর থেকে এই রিফুয়েলিং স্টেশন চালু হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট না থাকায় এই স্টেশনের জ্বালানি বিক্রি হচ্ছে না। ফলে চালুর পর থেকেই লোকসানে আছে ওসমানীর রিফুয়েলিং স্টেশন।
ওসমানী বিমানবন্দরে ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ বলেন, গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সংক্রান্ত জটিলতায় ২০১৫ সালে ফ্লাই দুবাই’র ফ্লাইট চালু হয়ে আবার বন্ধ হয়ে যায়। এবার সব জটিলতার অবসান ঘটিয়েই তারা ফ্লাইটটি চালু করছেন। তিনি জানান, ওসমানী বিমানবন্দরের বিদ্যমান রানওয়ে ও টেক্সিওয়ে শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে ওয়াইড বডি বোয়িং ৭৭৭ মডেলের বিমানসহ অন্যান্য ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ৪৫২ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে আরো বিদেশি উড়োজাহাজ ওসমানীতে অবতরণ করবে।