বড়লেখা সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজার বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের আজিমগঞ্জ বাজার সংলগ্ন আলোচিত লোকমানের স’মিল থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকার অবৈধ কাঠ আটক করেছে বড়লেখা থানা পুলিশ রবিবার সন্ধ্যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিজিবি ও বনবিভাগ। আটকের ১৮ ঘন্টা অতিক্রম হলেও এখনও পর্যন্ত পুলিশ কোন মামলা করেনি এবং আটককৃত অবৈধ সেগুন কাঠগুলো বনবিভাগের নিকট হস্তান্তর করেনি। এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লোকমানের মালিকানাধীন এবং সাহিদ আহমদ পরিচালিত উক্ত স’মিলে রাতের আঁধারে প্রায়ই অবৈধ কাঠ মেশিনে কাটা হয়। ভোর রাতে এ কাঠ বিভিন্ন জায়গায় চোরাই চালানের মাধ্যমে পাচার করা হয়। এলাকার সচেতনদের তৎপরতায় গতকাল সন্ধ্যায় অবৈধ প্রায় ৭০ ফুটেরও অধিক সেগুন কাঠ আটক করে পুলিশ। যার বাজারমূল্য প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, এর আগেও একাধিকবার এ স’মিল থেকে অবৈধ কাঠ আটক করা হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজসে স’মিল কর্তৃপক্ষ ছাড় পেয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনি তৎপরতা চালানো হয়নি এ ব্যাপারে স’মিলের বৈধতা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেন। স’মিল পরিচালক সাহিদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কাঠগুলোর মালিক উপজেলার দক্ষিণভাগ এলাকার জনৈক ব্যবসায়ীর। দক্ষিণভাগ এলাকায় একাধিক স’মিল থাকা সত্বেও সুজানগরে কাঠগুলো কিভাবে আসে এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে স’মিল বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ ব্যাপারে মাধবকুন্ড বিট কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান জানান, পুলিশ কাঠগুলো জব্দ করেছে, আমরা খবর পেয়ে বিজিবিসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। নিয়মানুযায়ী পুলিশ মামলা করে বনবিভাগের কাছে মামলার কপিসহ কাঠগুলো হস্তান্তর করবে।