• ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

নবীগঞ্জের কান্দিগাঁও টু লোগাঁও সড়কের বেহাল দশা

sylhetsurma.com
প্রকাশিত মার্চ ১৩, ২০১৭

নবীগঞ্জ  সংবাদদাতা :
নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত বেশ কয়েকটি গ্রামের একমাত্র রাস্তা কান্দিগাঁও টু লোগাঁও সড়ক বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল,কলেজে পড়–য়া অসংখ্য শিক্ষার্থী সহ কয়েকটি গ্রামের হাজার সাধারণ মানুষদের।রবিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ার কারণে  সিএনজি, রিক্সা, কান্দিগাঁও টু লোগাঁও সড়ক দিয়ে আসতে চায় না। অভিযোগ রয়েছে উক্ত সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করায় কয়েকদিন পর পর সড়কের অনেক স্থানে বড় বড় গর্তে সৃষ্টি হয়ে যানচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এতে প্রায় সময় রাস্তার সাধারণ পথচারীদের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কান্দিগাঁও টু লোগাঁও সড়কের বেহাল দশা দেখার যেন কেউ নেই ? এর মধ্যে অল্প বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে কাদা, নর্দমা একাকার হয়ে সড়কটি বন্যার স্রোতে পরিণত হয়ে যায়।
জানা যায়, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ি অঞ্চল দিনারপুর পরগণার গজনাইপুর ইউনিয়নের মামদপুর, লোগাঁও, কায়স্থগ্রাম, শিলালেরপুঞ্জি, শেখেরপাড়া, শকংর সেনা, বনগাঁও, কান্দিগাঁও সহ আরো বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং নবীগঞ্জ উপজেলা যেতে হলে গ্রাম থেকে বের হয়ে আসার এটাই একমাত্র রাস্তা। কান্দিগাঁও টু লোগাঁও রাস্তা বড় বড় গর্ত হয়ে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে সেই সাথে বিপাকে পড়েছেন স্কুল কলেজে পড়–য়া অসংখ্য শিক্ষার্থীরা। সড়কটিতে বড় বড় গর্তের কারণে দুর্ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে প্রাণহানীসহ নানা সমস্যায় পরতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদেরকে। এছাড়া সড়কে দ্রুতগামী যানবাহনগুলো সড়কের ভাঙ্গার একমাত্র কারণ বড় বড় গর্তের জন্য ওই সড়কে যান চলাচল আগের তুলনায় অনেকটা কমে গেছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি, চরম সংকটময় সময় খাটাচ্ছে দিনারপুর উচ্চ বিদ্যালয়, দিনারপুর কলেজ এবং রাগীব রাবেয়া স্কুল এন্ড কলেজে পড়–য়া অসংখ্য শিক্ষার্থীরা। দিনারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র শিমুল আহমেদ জানান, আমাদের চলাচলের এইটাই একমাত্র রাস্তা এই সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে যেখানে স্কুলে যেতে ২০ থেকে ২৫ মিনিটে লাগতো সেখানে এখন প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ মিনিটের ও বেশি সময় লাগে। সড়কের দশা বেহাল হওয়ায় আগের মতো গাড়ী পাওয়া যায় না তাই অপেক্ষা করে সময় নষ্ট না করে আমরা পায়ে হেঁটেই স্কুলে যাই। দিনারপুর কলেজ ছাত্র মাহিন চৌধুরী জানান, রাস্তার অবস্তা খারাপ হওয়ার কারণে কলেজে পায়ে হেটেই চলে যাই গিয়ে অনেকটা ক্লান্ত হয়ে যাই যার কারনে ক্লাসে তেমন মনযোগ থাকে না। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের চরম বিপাকে পড়তে হয় পরীক্ষার সময় কারণ পরীক্ষার নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়া যায়না তাই রাস্তা মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামণা করেছেন ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ এবং ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দ।