স্টাফ রিপোর্টার
সিলেট নগরীর কাজির বাজার ও লালদিঘীরপাড়ে জুয়ার আস্তানায় পৃথক পুলিশের অভিযানে নগদ টাকা ও মোবাইলসহ ৪৭ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোররাত ৩ টার দিকে কাজির বাজারের মৎস ব্যবসায়ী সমিতির নেতা হাজী জাহাঙ্গীরের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ৪২ জনকে আটক করা হয়। পরে সকালে অবৈধ তীর খেলার সময় নগরীর লালদিঘীরপাড় এলাকা থেকে আরো ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদানও করেছেন। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর ও বিল্লাল নামের ২ জুয়াড়ীকে এক মাস করে কারাদন্ড এবং বাকিদের বিভিন্ন পরিমাণে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। নগরীর ক্বীন ব্রিজের নীচে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদ হোসেন ও জিয়াউল ইসলাম এর নেতৃত্বে আটককৃতদের বিরুদ্ধে এ বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নগরীর কাজিরবাজারে জুয়া, মাদকসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল একটি চক্র। মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই আসরে অভিযান চালায় কোতোয়ালী থানা পুলিশ। অভিযানে ধরা পড়ে ৪২ জুয়াড়ি। তন্মধ্যে জুয়ার আসরের নিয়ন্ত্রক জাহাঙ্গীর আলম ও আসরের ম্যানেজার বিল্লাল মিয়াও রয়েছে। বিকেল ৩টার দিকে নগরীর ক্বিন ব্রিজ এলাকার আলী আমজাদের ঘড়ির পাশে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এসব জুয়াড়িদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। জাহাঙ্গীর ও বিল্লালকে এক মাসের কারাদন্ড এবং বাকিদের বিভিন্ন পরিমাণে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। কোতোয়ালী থানার ওসি সোহেল আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুহেল আহমদ বলেন, ভোররাতে কাজিরবাজারে জুয়ার আস্তানায় অভিযান চালিয়ে নগদ ১ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা ও ৪৫টি মোবাইল ফোনসহ ৪২ জুয়াড়িকে আটক করেছি। এরপর সকালে লালদীঘিরপাড় থেকে অবৈধ তীর খেলার দায়ে আরও ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে ভ্রাম্যমান আদালতে তাদের বিচার হয়। তিনি জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদ হোসেন ও জিয়াউল ইসলাম।