সিলেট সুরমা ডেস্ক ::: পলাতক অবস্থায় সিলেটের স্থানীয় দৈনিক ‘সিলেটের ডাক’ সম্পাদনা ও প্রকাশনা করে প্রতারণা করেছেন, এমন অভিযোগে বিতির্কিত শিল্পপতি রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সিলেটের মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো এই মামলার ৩ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আদালত ৬ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করেন বলে জানান আদালতের এপিপি মাহফুজুর রহমান।
আজ সাক্ষ্যগ্রহণকালে রাগীব আলী ও তাঁর ছেলে আব্দুল হাইকে আদালতে হাজির করা হয়েছিলো। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
সিলেটের হাজার কোটি টাকার দেবোত্তোর সম্পত্তি তারাপুর চা বাগান দখলের অভিযোগে দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর গতবছরের ১০ আগস্ট রাগীব আলী ও তার একমাত্র ছেলে আবদুল হাই ভারতে পালিয়ে যান। সেই সময় রাগীব আলী সিলেটের ডাক পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি এবং তাঁর ছেলে আবদুল হাই সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
পরে আব্দুল হাইকে সম্পাদকের পদ থেকে সরানো হলেও রাগীব আলী এখনো স্বপদে আছেন। মামলার বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রাগীব আলী ও আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে মামলা করেন সিলেট নগরীর উপশহরের বাসিন্দা ও ছাতক প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গিয়াস উদ্দিন তালুকদার। পলাতক অবস্থায় সম্পাদনাজনিত প্রতারণার অভিযোগে রাগীব আলীর ৫৮ বছর ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের ২৯ বছরের কারাদন্ডের আবেদন করেন মামলার বাদী। আদালত ওই দিন মামলাটি আমলে নিয়ে দন্ডবিধির ৪১৭ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেন। তবে সমন পাওয়ার পর জবাব না দেওয়ায় পরের মাসে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরআগে গত ২ ফেব্রুয়ারি ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির মাধ্যমে তারাপুর চা বাগান দখল মামলায় রাগীব আলী ও তাঁর ছেলে আব্দুল হাইয়ের ১৪ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করেন একই আদালত। এদিকে, প্রতারণার মাধ্যমে দেবোত্তর সম্পত্তি তারাপুর চা বাগান দখলে করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ঘোষণা করা হলেও উচ্চ আদালতের নির্দেশে তা দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এই মামলায় রাগীব আলী ও তাঁর ছেলেসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।