সিলেট সুরমা ডেস্ক ::: সিলেটের কলেজ ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আদালত পরিবর্তন করা হয়েছে। আইনজীবীরা জানান, মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন।
তারা আরো জানান, আজ ওই আদালতে আলোচিত এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের কথা ছিল। এ আদালতের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়ার এখতিয়ার না থাকায় উচ্চ আদালতে মামলা বদলি করা হয়। মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়েছে। ওই আদালতে আগামী ৫ মার্চ (রবিবার) মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন আইনজীবীরা।
মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের এপিপি এডভোকেট মাহফুজুর রহমান জানান, আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের লক্ষে মামলাটির কার্যক্রম মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর হয়েছে। এখন থেকে মামলার বাকী কার্যক্রম মহানগর দায়রা জজ আদালতে সম্পন্ন হবে।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে আদালতে হাজির করা হয় মামলার একমাত্র আসামি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক বদরুলকে।
এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন হামলার শিকার খাদিজা বেগম নার্গিস। মামলাটিতে মোট চৌত্রিশ জন সাক্ষ্য দেন।
বুধবার (০১ মার্চ) এপিপি মাহফুজুর রহমান জানিয়াছেন, রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটির আদালত পরিবর্তন করে মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর সিলেট এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলমের চাপাতির কোপে গুরুতর আহত হন খাদিজা। প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর সেখান থেকে ৪ অক্টোবর তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে এনে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়। স্কয়ার হাসপাতালে প্রথম দফায় খাদিজার মাথায় ও পরে হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়। তার অবস্থার একটু উন্নতি হলে লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়। এরপর আইসিইউ থেকে এইসডিইউ-তে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে ২৬ অক্টোবর তাকে কেবিনে নেওয়া হয়। এরপর আবারো মাথায় ও হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়। অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠার পর সম্প্রতি স্কয়ার থেকে সিআরপিতে নেওয়া হয় খাদিজাকে।
হামলার দিন ঘটনাস্থল থেকে বদরুল আলম আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা। আদালতে হামলার দায় স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন বদরুল। বদরুলের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকে। বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে। পরে স্থায়ী বহিষ্কার করে।