• ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে আমার ভাইকে আসমি করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে মিছবাহ

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭

সিলেট সুরমা ডেস্ক :: জাফলং সোনাটিলা পাহাড় ধসে মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে মেসার্স জালালাবাদ লাইম ম্যানুফেক্চারার্স এন্ড ট্রেডিং এসোসিয়েশনের অংশীদার মো. আফছার উদ্দিনকে আসামী করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার ভাই মো. মিছবাহ উদ্দিন।
মঙ্গলবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে মিছবাহ উদ্দিন জানান, সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারনে ১৯৯১ ইং থেকে তার ভাই, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকের বাগবাড়ী  গ্রামের এমএ কবির মিয়ার ছেলে মো. আফছার উদ্দিন ঐ এলাকায়ই যাননি। সোনাটিলা থেকে চোরাই পথে এলাকর প্রভাবশালী লোকজন চুনাপাথর উত্তোলন করছে। গত ১৯ ফেব্র“য়ারি সোনাটিলা থেকে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে কোম্পানিগঞ্জের তেলিখাল গ্রামের মদরিছ আলীর পুত্র কামরুজ্জামান কামরু, জিয়াদুর রহমানের পুত্র তাজ উদ্দিন ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে। এ ঘটনায় ঐ দিন গোয়াইনঘাট থানায় যে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তাতে আমার ভাই আফছার উদ্দিন কে ১নং আসামি করা হয়েছে। ১৯৯১ সালে সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর ২০০৭ ও ২০০৯ সালে মেসার্স জালালাবাদ লাইম ম্যানুফেক্চারার্স এন্ড ট্রেডিং এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে ২টি রিট আবেদন করলেও ২টিই খারিজ হয়ে যায়। পরে আমার ভাই আফছার উদ্দিন সুপ্রীম কোর্টে আপিল করেন। এই মামলাটি এখনও চলছে।
এ অবস্থায় সোনাটিলায় আমার ভাই পাথর তোলা দুরের কথা, ওখানে তিনি যাচ্ছেনইনা।  মিছবাহ উদ্দিন আরও বলেন, ঐ এলাকার মোহাম্মদপুর গ্রামের আব্দুল গনির পুত্র দুলালের নেতৃত্বেই ওখানে চুনাপাথর উত্তোলন করা হয়। সে একজন চাঁদাবাজ। আমার ভাইয়ের কাছেও সে ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবি করেছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হুমকী ধমকিও দিয়েছে।
তিনি বলেন, ঐ এলাকায় আর কোনদিন না যাওয়ার জন্যই যারা চোরাই পথে পাথর উত্তোলন করছে তারা মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে আমার ভাইকে ১নং আসামি করেছে।
তিনি প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য সাংবাদিক এবং প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।