স্টাফ রিপোর্টার
সিলেট নগরীতে পকেটমারদের দৌরাত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা একের পর এক লোকজনদের পকেটমারতে থাকলেও পুলিশের নেই কোন তৎপরতা। এতে পুলিশ সাংবাদিকরাও বাদ পড়ছেন না। পকেটমাররা কয়েকটি গ্রুপে ভাগ করে এসব কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের প্রতি গ্রুপে রয়েছে ৩ জন পকেটমার। আদালতপাড়া, আদালপাড়ার প্রবেশ মুখসহ নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ও বিভিন্ন বিপনীবিতানের সামনে তারা ওৎ পেতে থাকে। নিশিষেই তারা লোকজনের পকেটমারছে। পকেটমার গ্রুপে কাজ করছে কিশোররা।
এসব পকেটমারদের নিয়ন্ত্রণে থাকে একটি সিন্ডিকেট চক্র। মুলত তারা তাদের আন্ডারেই কাজ করে থাকে। প্রতিদিন কে কয়জনের পকেট মারছে তারও নজর রাখছে ওই চক্র। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এসব কিশোররা মাসিক বেতনে নগরীতে পকেটমারের কাজ করে।
জানা গেছে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারী দুপুরে আদালতপাড়ায় রিপোর্ট ও ফটো সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সিনিয়র সাংবাদিক ও এক জুনিয়র সাংবাদিকদের পকেটমারের শিকার হন। তাদের এসব মানিব্যাগে আইডি কার্ড, টাকা পয়সা ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল। তারা লোকের ভীড়ের মধ্য থেকে বেরিয়ে আসার পর হাত দিয়ে দেখেন তাদের মানিব্যাগটি নেই। পরে আশপাশে খোঁজাখুজি করে তাদের মানিব্যাগ পাননি। এতে তারা হতম্ভব হয়ে ভেঙ্গে পড়েন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় মধুবনের সামন থেকে এক অনলাইন সাংবাদিকের ১৬ হাজার টাকা দামের একটি মোবাইল পকেটমাররা নিয়ে যায়। পরে তিনি মোবাইলটি খোঁজাখুজি করে পাননি। এর কয়েকদিন পূর্বে আদালতের প্রধান প্রবেশমুখ থেকে ওই কিশোর পকেটমাররা এক সাংবাদিক ও দুই পুলিশের মানিব্যাগ নিয়ে যায়। এসব মানিব্যাগে টাকা, আইডি কার্ড ও জরুরীর কাগজপত্র ছিল। এছাড়া প্রতিদিন গ্রাম থেকে শহরে আসা লোকজনেরও পকেটমারছে ওই চক্রটি।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদ জানান, পকেটমার চক্রকে ধরতে পুলিশের একটি দল নগরীতে তৎপরতা চালাচ্ছে।