• ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত চান কম্পিউটারের সফট্ওয়ার আবিস্কারক প্রতিবন্ধী বাহার

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭

প্রধানমন্ত্রী আপনার দেওয়া ১ লক্ষ টাকায় আমি সুস্ত হইনি, দু’হাতের উন্নতর চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা আমার পক্ষে  সম্ভব নয়। শারিরীক প্রতিবন্ধী, কম্পিউটারের সফট্ওয়ার আবিস্কার সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বাহার উদ্দিন প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের জন্য আকুতি জানিয়েছেন। বাহার তার দু’হাতের উন্নতর চিকিৎসার সহায়তার আব্দার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে চান বলে সংবাদ সমম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
শনিবার নগরীর সিলেট জেলা প্রসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কানাইঘাট উপজেলার গাছবাড়ির বানী গ্রামের বাহার উদ্দিন বলেন, শাররীক প্রতিবন্ধি হয়ে আজ আমি মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছি। ইতিমধ্যে অনেক চিকিৎসা করানো হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, একজন ক্ষুদে বৈজ্ঞানিক ও শারিরীক প্রতিবন্ধী। ইতিমধ্যে দুইাটি কম্পিউটারের সফট্ওয়ার আবিস্কার করেছি। ১. বাংলা সফট্ওয়ার যার নাম মাহিনা বাহার সাকি-২০০৯, ২। মাল্টিমিডিয়া সফট্ওয়ার- যার নাম মার্জিয়া বাহার আকি-২০১০। ১৯৮৯ সালে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে সু-চিকিংসার অভাবে দুইটি পা চিরতরে পঙ্গু হয়ে যায়। এর পরও আমাদের বসে থাকিনি। ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার পাশাপাশি পরিবার চালাচ্ছি।
১৯৯৯ সালে এস.এস.সি পাশ করার পর নিয়তির নির্মম পরিনতিতে দুইটি হাতে রোগ দেখা দেয়। যার ফলে লেখাপড়ার ইতি টানতে হয়। তাই ২/১টি প্রতিষ্টানে কম্পিউটার প্রশিক্ষন নিয়ে ঘরে বসে কম্পিউটার সহায়ক বই পড়ে কম্পিউটারের ডিপ্লমা করি। পরবর্তিতে নিজ বাড়ীতে কুইক লাক কম্পিউটার একাডেমি নামে একটি প্রতিষ্টান গড়ে তুলি। যেখানে ছাত্র ছাত্রিরা নিয়মিত প্রশিক্ষন গ্রহণ করতে পারত। হাতের রোগ দেখা দেওয়ার কারণে বিগত ৪ বছর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্ধ হয়ে যায়। এমতাবস্তায় মানুষের সাহায্য ছাড়া আমাদের ঘরে দু বেলা  খাবার জুটেনা।
এ পর্যন্ত আমাদের বাংলাদেশের ৪২ জন ডাক্তারের চিকিংসা নিয়েছি। কিন্তু কোন সুফল না পেয়ে ভারতে চিকিৎসার জন্য যাই। এখানকার ডাক্তার বলেছেন, দু হাতের অপারেশন লাগবে, যা অত্যান্ত ব্যয় বহুল। অপারেশনের অনুমানিক খরচ ৪০,০০০ হাজার মার্কিন ডলার। ১ বৎসর আমাকে হাসপাতালের বেডে থাকতে হবে। ডাক্তাররা বলেছেন, যদি অপারেশন না করাই তাইলে যে কোন সময় ২টি হাত চিরতরে অচল হয়ে যাবে।
এই চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী ২৪ মার্চ ২০১৫ তারিখে ১ লক্ষ টাকার চেক দিয়েছেন। এতে চিকিৎসা করানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন- দু’হাতের উন্নতর চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্তা গ্রহণ করতে সাক্ষাতকার সুযোগ করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাহার উদ্দিনের দুই মেয়ে ও ৫ বছরের ছেলে সোহান আহমদ মান্না। -বিজ্ঞপ্তি