• ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ভাড়াটেকে কাবু করে মালামাল আত্মসাতের চেষ্টা, কর্মচারীকে চুরির অপবাদ দিয়ে বিতাড়ন

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৭

সিলেট সুরমা ডেস্ক :::
সিলেট নগরীর বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মার্কেটে শাহজালাল আধুনিক চেইন ঘরের ব্যবসায়ী পাবনায় একটি স্বর্ণালংকারের কারখানা চালু করে অবশেষে মারাত্মক হয়রানি ও লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উক্ত ব্যবসায়ীর নাম মো. শাহাদাত হোসেন লিটন। তিনি কুমিল্লা সদরের জামতলা গ্রামের মো. নুরে আলম লিলুর ছেলে। শুধু তাই নয়, ভাড়াটের মালামাল আত্মসাত করতে লিটনের দুজন কর্মচারী রুবেল ও রিপনকে চুরির অপবাদ দিয়ে বিতাড়িত করা হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৭ মে পাবনা জেলার আরিকপুর গ্রামের মৃত আবদুর রশিদের ছেলে মো. আমজাদ হোসেনের গোল্ড হ্যাভেন জুয়েলারী দোকানের দোতলায় একটি কক্ষ ভাড়া নেন। সে জন্য একটি চুক্তিনামও সম্পাদন করা হয়। এতে শর্ত থাকে যে, শাহাদাত হোসেন লিটন নিজের চাহিদা মতো বিনিয়োগ করে স্বর্ণ কারখানা চালু করবেন। কারখানায় রক্ষাণাবেক্ষণ ও দেখাশোনার জন্য আমজাদ হোসেনকে দৈনিক আয় থেকে ৫% মুনাফা প্রদান করবেন। প্রথম ৬মাস এই মুনাফা প্রদান করা হবে এবং পরবর্তী ৬ মাস ১৫% হারে কমিশন দেওয়া হবে। এ ভাবেই ৩ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর থেকে ব্যবসায় লোকসান হওয়া শুরু হলে শাহাদাত হোসেন শাহজালাল চেইন ঘরটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সে অনুযায়ী বিষয়টি আমজাদ হোসেনকে জানালে তিনি কারখানার সকল যন্ত্রপাতি বা সরঞ্জামাদী কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দেন। সে লক্ষে ৫ লাখ টাকা দামও চূড়ান্ত হয়। পরবর্তীতে মালামালের মূল্য পরিশোধের জন্য ২ মাসের সময় নেন আমজাদ হোসেন। কিন্তু সময় পার হয়ে গেলেও টাকা পরিশোধ করতে পারেননি তিনি। টাকা দিতে না পেরে নতুন এক ফন্দি আটেন তিনি।
হঠাৎ লিটনের উপরোক্ত কারখানায় কর্মরত দুজন কর্মচারী রিপন ও রুবেলকে চুরির অপবাদ দিয়ে কারখানা থেকে তাড়িয়ে দিয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যা পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলকভাবে প্রকাশ করা হয়। এদিকে আমজাদ হোসেনের নানা অপতৎপরতা এবং লিটনের কারখানার মালামাল আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ এনে কুমিল্লা কতোয়ালী থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করেন রুবেল। জিডি নং ১৪১১, তাং-২৩/০২/১৭। এতে তিনি উল্লেখ করেন, আমজাদ হোসেন তার ব্যবহৃত ০১৭১৩-৭১৪৪৩০ থেকে রুবেলের ০১৭৪৪-৪২৯৩৩৪ নাম্বারে ফোন দিয়ে লিটনের পাওনার ব্যাপারে বেশী বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। অন্যথায় মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।(সূত্র-দৈনিক শ্যামল সিলেট)