• ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

লালবাজারের আড়তের কর্মচারীকে অজ্ঞান অবস্থায় বিয়ানীবাজার থেকে উদ্ধার

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭

গোলাপগঞ্জ  সংবাদদাতা :
লাল বাজারের এক ডিম ব্যবসায়ীর কর্মচারী কর্তৃক ব্যাংকে টাকা জমা দেয়া নিয়ে ধূম্রজাল দেখা দিয়েছে। বুধবার সন্ধার সময় বাছিত আহমদ (১৭) নামে এই কর্মচারীকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বিয়ানীবাজারের আলীনগর ইউপির সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের পূর্ব আলীনগর গ্রামে রাস্তার পাশে বিন্নাছুবিতে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার ১নং আলী নগর ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুনের সাথে আলাপ করা হলে তিনি  জানান, রাস্তার পাশে খেলাধূলা করছিল স্থানীয় তরুণরা। এ সময় তারা বাছিত আহমদ নামে এই কর্মচারীকে হাত-পা বাধাঁ ও মুখে কস্টেব দিয়ে প্যাচানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তারা তাকে ফোন করেন। তিনি এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর পর তার কিছুটা জ্ঞান ফেরে। তবে সে কথা বলতে পারেনি। পরে তার শার্ট প্যান্টের পকেট তল্লাশি করে তিনি তার দোকানের মালিকের কার্ড পান। পরে তিনি তার দোকানের মালিকের মোবাইলে ফোন করে বিষয়টি জানান। পরে ঐ কর্মচারীর ভাই নাছির ও দোকানের আরো একজন কর্মচারী এসে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে। চেয়ারম্যান মামুন আরো জানান, তিনি অচেতন ঐ কর্মচারীর ছবি মোবাইলে ধারণ করতে চাইলে উদ্ধারকারীরা বারণ করে। তিনি বিয়ানীবাজার থানা পুলিশকেও বিষয়টি অবগত করেছেন। অপরদিকে দোকানের মালিক লালবাজার আজাদ স্টোরের মালিক আজাদ মিয়ার সাথে মোবাইলে আলাপ করা তিনি জানান, তার দোকানের এই কর্মচারীকে গতকাল সকাল ১০টা ২০মিনিটে তিনি ২ লাখ ৮০ হাজার ৭শ’ টাকা সিলেট বন্দরবাজার শাখার পূবালী ব্যাংকে জমা দেয়ার জন্য পাঠান। পরে সে আর দোকানে ফেরেনি। সকাল ১১টায় তার মোবাইলে ফোন দেয়া হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এ সময় তিনি ঐ ব্যাংকের ম্যানেজারের মোবাইলে টাকা জমার বিষয়টি জানতে চাইলে ব্যাংক কর্মকর্তা তার একাউন্টে টাকা জমা হয়নি বলে জানায়। দুপুর ২টায় তিনি সিলেট গোয়েন্দা শাখার ডিসি গোলাপের সাথে আলাপও করেন। তিনি সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি করতে বলেন। সন্ধ্যার পর বিয়ানীবাজার উপজেলার আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোবাইলে জানান, তার দোকানের কর্মচারীকে অচেতন অবস্থায় রাস্তার পাশে পাওয়া যায়। দোকারে মালিক আরো জানান, তিনি জানতে পেরেছেন তার দোকানের কর্মচারী বাছিত দুপুর ২টায় বিয়ানীবাজারের রানাপিং বাজারে চায়ের দোকানে চা খায়। এ সময় চায়ের দোকানের মালিক এখানে কিসের জন্য আসছো জানতে চাইলে সে জানায় তার মালিকের দোকানের তাগদার জন্য এসেছে। তিনি বলেন, তার দোকানের এই কর্মচারী তার টাকা আত্মসাৎ করার জন্য এই নাটক করছে। তার টাকা ফেরত না পেলে তিনি তাকে পুলিশে দেবেন।
এদিকে রাত ১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা গেছে ঐ কর্মচারীর বিরুদ্ধে আজাদ স্টোর এর মালিক আজাদ মিয়া একটি অভিযোগ দায়ের করে তাকে তার ভাইয়ের জিম্মায় দেয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। তবে তার কথা বার্তা অগোছানো বলে আজাদ মিয়া জানান।