সিলেট সুরমা ডেস্ক ::: পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের একটি জনপ্রিয় মাজারে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ৭২ জন নিহত ও ২৫০ জন আহত হয়েছে। দেশটির পুলিশ একথা জানিয়েছে।
সিন্ধু প্রদেশের সেহওয়ান শহরের সুফি সাধক লাল শাহবাজ কালান্দারের মাজারে ভক্তদের ভিড়ের মধ্যে ঢুকে হামলাকারী তার শরীরে বেঁধে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। খবর এএফপি’র।
প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে।
পাকিস্তান তালেবান, আইএস ও অন্যান্য জঙ্গিরা সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে যে কয়টি বোমা হামলা চালিয়েছে এটি ছিল সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ।
পাকিস্তানের সবচেয়ে পুরনো মাজার এটি। দেশটির মাজারগুলোর মধ্যে এই মাজারটিকেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক লোক জিয়ারত করে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মুসলিমদের পবিত্র দিবস জুম্মায় জিয়ারতের উদ্দেশ্যে এই মাজার প্রাঙ্গনে সবচেয়ে বেশি লোক জমায়েত হয়। আরবী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সুর্যাস্তের পর থেকেই জুম্মা শুরু হয়।
সুফি সংস্কৃতির আচার ‘ধামাল’ নাচ চলার সময় এ হামলা চালানো হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, হামলাকারী একটি গ্রেনেড ছোড়ার পর শরীরে বেঁধে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
এক প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমি মাজারের সব জায়গাতেই লাশ পড়ে থাকতে দেিেছ। আমি নারী ও শিশুদের লাশ দেখেছি।’
অপর একজন ঘটনাস্থলে হুড়োহুড়ির বর্ণনা দেয়।
তিনি বলেন, মাজার প্রাঙ্গণটিতে কয়েক হাজার লোক আতঙ্কে চিৎকার কান্নাকাটি করছিল।
পাকিস্তানের বৃহত্তম অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস এদি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৪৩ জন পুরুষ, ৯ নারী ও ২০ শিশু রয়েছে।
পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, এই ঘটনায় আরো অন্তত ২৫০ জন আহত হয়েছে।
ওই এলাকার একমাত্র হাসপাতালটি ধারণক্ষমতার চেয়েও বেশি রোগী রয়েছে।
গুরুতর আহতদের আকাশপথে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে রাতে চলাচলে সক্ষম নৌবাহিনীর হেলিকপ্টারগুলোকে পাঠানো হবে।