স্টাফ রিপোর্টার
বিশ্বনাথ উপজেলায় ক্রিকেট খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে আব্দুল হক হত্যা মামলায় একজনের ৬ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং অপর এক আসামীকে খালাস প্রদান করেছেন আদালত। সোমবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় প্রদান করেন। রায়ে দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী হলো- বিশ্বনাথ উপজেলার ধরারাই গ্রামের আমিন উল্লাহ ছাদুর পুত্র মোজাক্কির হোসেন লিটন (২০) এবং খালাস প্রাপ্ত আসামী একই উপজেলার একই গ্রামের আনফর আলীর পুত্র মো. ছায়েদ মিয়া (১৫)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ২ জানুয়ারী বিশ্বনাথ উপজেলার জগৎপুর ও ধরারাই গ্রামের প্রীতি ক্রিক্রেট খেলায় ধরারাই টিমের অধিনায়ক ছিলেন আব্দুল হক। ঐ খেলায় বল ও ব্যাট করাকে কেন্দ্র করে ধরারাই দলের খেলোয়াড়রা উত্তেজিত হয়ে খেলা শেষে আব্দুল হকের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আঘাতপ্রাপ্ত রক্তাক্ত অবস্থায় আব্দুল হককে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরদিন চিকিৎসারত অবস্থায় আব্দুল হক মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই মৃত শাহ সোরাব আলীর ছেলে মো. শাহির আলী বাদি হয়ে মোজাক্কির, মোক্তার, মর্তুজা, শাহীন মিয়া, মোসাহিদ, রহমত, নজির, আয়না,আজিজুর ও বাদশা মিয়ার নাম উল্লেখ করে বিশ্বনাথ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই নেয়ামত উল্লাহ তার তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ২৪ এপ্রিল মোজাক্কির ও ছায়েদকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র নং ১০২) দাখিল করেন। আদালতে ২০০৭ সালের ২৭ মে ছায়েদ ও মোজাক্কির এর বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে মামলার বিচারকার্য শুরু করেন। দীর্ঘ শুনাণী ও ২২ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত সোমবার বিকালে মোজাক্কির হোসেন লিটনকে ৩০৪(২) ধারায় দোষি সাব্যস্থ করে ৬ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন।
মামলার খালাসপ্রাপ্ত আসামীর আইনজীবী এ,টি,এম মাসুদ টিপু ও আব্দুর রহমান আফজাল(স্বপন) জানান, দীর্ঘ প্রায় এগারো বছর পর বিশ্বনাথের আব্দুল হক হত্যা মামলার রায়ে আদালত একজনকে ৬ বছরের দন্ড ও অপর এক আসামীকে খালাস প্রদান করেছেন। মামলার রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) এ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন।