স্টাফ রিপোর্টার
দুদক কর্মকর্তাদের উপর হামলার ঘটনায় সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী আজিজুর রহমানকে সোমবার সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক। একই সঙ্গে তাকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শহিদুল ইসলাম চৌধুরী অভিযুক্ত কর্মচারীকে গ্রেফতার ও সাময়িক বরখাস্তের খবর জানিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারী বিকালে অভিযান চালিয়ে জেলা প্রশাসনের ব্যবসা বাণিজ্য শাখার কর্মচারি আজিজুর রহমানকে আটক করেছিলো দুদক। সে সময় তার অন্য সহকর্মীরা হামলা চালিয়ে আজিজুর রহমানকে ছিনিয়ে নেন। ।
সোমবার সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোছাম্মত নাজমানারা খানম বলেন, দুদকের কর্মকর্তাদের উপর হামলার ঘটনা তদন্তে সিলেটের একজন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৯ ফেব্রুয়ারী সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার রোকন উদ্দিন জানিয়েছিলেন, বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে অফিস সহকারী আজিজুর রহমানকে আটক করে দুদকের একটি দল। আটকের পর আজিজুরকে নিয়ে যাওয়ার সময় কার্যালয়ের অন্য কর্মচারীরা দুদকের দলকে বাধা দেন। একপর্যায়ে আজিজুর রহমানকে ছিনিয়ে নেন কর্মচারীরা। তিনি জানান, এসময় দুদকের কর্মকর্তাসহ তিনজন আহত হন। দস্তাদস্তির পর দুদক কর্মকর্তাদের নিয়ে নিজ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন। বৈঠক চলাকালেই অসুস্থ হয়ে পড়েন আজিজুর। তাকে তখনই হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর সহকর্মীরা। পরে পুলিশ প্রহরায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় ছাড়েন দুদক কর্মকর্তারা। এঘটনায় ওই রাতেই সিলেট কতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
ওই রাতে আলাপকালে জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন জানিয়েছিলেন, দুদক কর্মকর্তারা কর্মচারীর ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেননি। তারা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
এদিকে, এ ঘটনায় তদন্তে নামে দুদকের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম। গত শনিবার দুপুরে ঘটনা তদন্তে সিলেট আসেন দুদকের বিশেষ মহাপরিচালক আসাদুজ্জামান। তিনি ফিরে যাওয়ার পর এই ব্যবস্থা নেওয়া হলো।