স্টাফ রিপোর্টার
প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ সাজে। গাছের ডালে ডালে ও পথের পাশের ফুটে ওঠা বুনো ফুলগুলো প্রকৃতিকে করে তুলেছে রঙিন। কাচা ফুলের ঘ্রাণে মাতোয়ারা হচ্ছে ধরণী। ধূসর বর্ণের পাতাগুলির ঝরে পড়ার মর্মর ধ্বনির মাঝে সৌরভ ছড়াচ্ছে জেগে ওঠা কচি কচি পাতা আর ফুল কলিগুলো। গাছে কোকিলের কুহু কুহু সুরের মূর্ছনা জানান দেয় প্রকৃতিতে এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। সোমবার বাসন্তি রঙে রঙিন হওয়ার দিন ছিল।
বাসন্তি রঙে প্রকৃতির সঙ্গে নিজেদের সাজিয়ে বসন্তের উন্মাদনায় কণ্ঠে ধ্বনিত হবে বাউল স¤্রাট আব্দুল করিমের বিখ্যাত গান, ‘বসন্ত বাতাসে সইগো, বসন্ত বাতাসে, বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে।’
প্রকৃতির সেই রং লাগবে মানুষের মনে। বসন্ত বলেই সবখানে বর্ণিল সাজ। তাই বাসন্তি রঙে সাজতে ফুলের দোকানে দেখা মেলে তরুণীদের ভিড়। তরুণীর খোঁপায় লাল গোলাপ যেন পরিচয় করিয়ে দেয় রক্তিম ঋতুরাজ বসন্তের সঙ্গে। বসন্তকে বরণে নগরীর সবখানে যেনো সাজ সাজ রব।
নগরীর জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, নয়াসড়ক, নাইওরপুল এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে দোকানে ফুল ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য ছিল লক্ষনীয়। তরুণীরা পছন্দমতো কিনে নিচ্ছেন ফুলের তৈরি তাজ। কেউবা মাথায় দিয়ে পরখ করছেন নিজের সৌন্দর্য। যা কিছু সুন্দর সবই যেনো ঋতুরাজ বসন্তের আগমনীতে।
এদিকে ঋতুরাজ বসন্ত বরণে নগরীতে আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, এমসি কলেজ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাড়াও সিলেটের সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে পৃথক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। ঋতুরাজ বসন্তেকে বরণ করে নিতে বণাঢ্য র্যালি বের করে। নগরীর মিরের ময়দান আর্য সঙ্গীত বিদ্যালয়, শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করে।