স্টাফ রিপোর্টার
সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলাস্থ ৫নং বুধবারী বাজার ইউনিয়নের ৮নং চন্দরপুর ও ৯নং লামাচন্দরপুর গ্রামে কুশিয়ারা নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি, কৃষিজমি, মসজিদ, স্কুল, মাদ্রাসা, কবরস্থানসহ বিভিন্ন স্থাপনা। কৃষিজমি হারিয়ে ধীরে ধীরে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন গ্রামবাসী। এই নদী ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী। যে কোন সময় ভেঙে নদীতে চলে যেতে পারে এসব স্থাপনা। কুশিয়ারার তীরে দাঁড়িয়ে এ শঙ্কায় তাইতো কোনই কুল কিনারা করতে পারছেন না স্থানীয়রা। বুধবাড়ী বাজার ইউনিয়নে লামাচন্দরপুর গ্রামের প্রধান সড়ক ও উত্তর মহল্লা মসজিদের সামনে গত ৫-৬ মাস ধরে নদী ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে যাচ্ছে প্রধান সড়কটি। এ রাস্থা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। রাস্থা হারিয়ে আজ সবহারা হয়ে পড়েছে লামাচন্দরপুর গ্রামের লোকজন। বর্তমানে স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র/ছাত্রী, বৃদ্ধ, ইমার্জেন্সী রোগীসহ অসুস্থ বয়স্ক লোকদের চলাফেরা অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
লামাচন্দরপুর গ্রামের রাস্থা যে হারে নদী ভাঙ্গনে ভেঙ্গে গেছে, তা গ্রামের লোকজনের জন্য চলাচল করা বিপদজনক। এই কুশিয়ারা নদীর ভাঙনের মুখে রয়েছে আরো কয়েকটি প্রধান সড়ক, শতাধিক ঘরবাড়ি, কৃষিজমি হারিয়ে আজ নিঃস্ব অনেকেই। এলাকাবাসী সকলে চান দ্রুত ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে নদী ভাঙ্গনে ক্ষয়ক্ষতি যেনো সীমা নেই এলাকাবাসীর। যার ফলে উেল্লখিত জনপদের বিভিন্ন পেশার লোকজন চাষাবাদযোগ্য জমি, বাসগৃহ, বনজসম্পদ বারবার হারানোর বেদনায় এলাকার বাতাসে দুঃখ ও হতাশার করুণ ধক্ষনি শোনা যাচ্ছে।
উল্লেখিত ৮নং চন্দরপুর ও ৯নং লামাচন্দরপুর গ্রামে নদী ভাঙ্গনের ফলে মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা চরমভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে। এলাকাবাসী পানি উন্নয়ন বোর্ডে বছর খানেক আগে একটি স্মারকলীপি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তাতেও কোন সাড়া পাচ্ছেন না গ্রামবাসী। নদী ভাঙ্গন সমস্যার সমাধান কল্পে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও মাননীয় মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।