• ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

গোলাপগঞ্জে নিজ ঘর থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার, স্ত্রী আটক

প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭

গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি::
সিলেটের গোলাপগঞ্জ নিজ বসত ঘর থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১১ ফেব্রয়ারি শনিবার সকালে উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে আব্দুল মিয়া (৪৫) নামের ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে স্ত্রী নুরুন নেছা(৩৮) কে আটক করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর থেকে নিহত আব্দুল মিয়ার পুত্র শিপলু আহমদ পলাতক রয়েছে।
প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল মিয়া গতকাল শুক্রবার (১০ ফেব্রয়ারি) রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টা দিকে নিজ বসত ঘরে ঘুমাতে যান। আব্দুল মিয়া এই সময় তার স্ত্রী নুরুন নেছার সাথে ঘন্টাব্যাপি ঝগড়া হয়। ঝগড়ার কিছুক্ষণ পর আব্দুল মিয়া ঘর থেকে স্ত্রী নুরুন নেছার কান্নার আওয়াজ শুনে বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসেন। এসময় বিছানায় আব্দুল মিয়ার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা। ওই সময় নিহত আব্দুল মিয়ার স্ত্রী নুরুন নেছা লাশের পাশে বসে কান্না করতে দেখেন প্রতিবেশীরা। নিহত আব্দুল মিয়ার ভাই জয়নাল মিয়া নুরুন নেছার কাছে তার ভাইয়ের মৃত্যুর কারণ জানতে চান। কিন্তু এসময় নুরুন নেছা মৃত্যুর কারণ জানাতে টাল বাহানা শুরু করে। এতেই জয়নাল মিয়ার সন্দেহ হয় তার ভাই আব্দুল মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি ওই¬ দিন সকালে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় এবং হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে নুরুন নেছাকে আটক করে।
এ ব্যাপারে আব্দুল মিয়ার বড় ভাই জয়নাল বলেন, আব্দুলের স্ত্রী নুরুন নেছার সাথে পার্শ্ববর্তী এলাকার সেবুল আহমদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। সেবুলের সাথে বিভিন্ন সময় আপত্তিকর অবস্থায় নুরুন নেছাকে পাওয়া গেছে। সেবুলের ইন্ধনে নুরুন নেছা ও শিপলু আমাদের সম্পত্তি দখলের জন্য আমার ভাইকে হত্যা করেছে। এ নিয়ে কয়েকবার তাদের সাথে আমার পরিবারের বিবাদে জড়িয়েছে। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই। এই ঘটনার পর থেকে আমার ভাতিজা শিপলু ও লম্পট সেবুল পলাতক রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই রফিক আহমদ মজুমদার জানান, উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে নিজ বসত ঘর থেকে আব্দুল মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই জয়নাল তিনজনকে বাদী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে তার স্ত্রী নুরুন নেছা(৩৮) কে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়াও মামলার অন্যতম আসামী নিহতের ছেলে শিপলু ও প্রতিবেশী সেবুল এখনো পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।