স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটের গোয়াইনঘাটে বিছানাকান্দি পাথর কোয়ারিতে ৩ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ১০টি শ্যালো মেশিন ধ্বংস করেছে টাস্কফোর্স। শনিবার দুপুর ১২টায় থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাহ উদ্দিন। অভিযানে গোয়াইনঘাট থানার ওসি দেলোয়ার হোসেনসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীরর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গোয়াইনঘাটের ইউএনও মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, অভিযানকালে কোয়ারিতে কোনো লোকজন পাওয়া যায়নি। তবে ১০টি শ্যালো মেশিন পাওয়া যায়। সেগুলো তাৎক্ষণিক ধ্বংস করা হয়েছে। অভিযান চলবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন থেকে অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।
সূত্র জানায়, কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলা ট্র্যাজেডি এবং সিলেটের বিছানাকান্দিতে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে মাটি চাপায় ৩ শ্রমিক নিহত হওয়ার পর টনক নড়লো প্রশাসনের। এতোদিন অবাধে পাথর উত্তোলন অব্যাহত থাকলে অ্যাকশনে যায়নি স্থানীয় প্রশাসন। গত শুক্রবার রাতে ঝুঁকিপূর্ণ কোয়ারিতে পাথর উত্তোলনে নামিয়ে ৩ শ্রমিক হত্যার ঘটনার পর যথারীতি প্রশাসনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে শনিবার উক্ত অভিযান পরিচালিত হয়।
৩ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় মামলা
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছানাকান্দি পাথর কোয়ারিতে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে গর্ত থেকে পাথর উত্তোলনের সময় মাটি চাপায় ৩ শ্রমিক নিহত এবং ঘর্টনাটি ধামাচাপা দিতে রাতের আঁধারেই পাথরখেকোরা শ্রমিকদের লাশ সরিয়ে পেলে। পরে শুক্রবার পুলিশ সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে। তারা হচ্ছে-সুনামসুনামগঞ্জ সদরের গুলেরগাঁওয়ের জাকির হোসেন (২০) ও তোলা মিয়া (২৫) এবং নেত্রকোনা জেলার খালিয়ারজুড়ি উপজেলার চানপুর গ্রামের নির্মল’র ছেলে পরিমল (২৫)। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। শুক্রবার রাতে দায়েরকৃত মামলায় (১৪/১০.২.১৭) আসামী করা হয়েছে ৫ জনকে। আসামীরা হলেন- পাথর ব্যবসায়ী বিছানাকান্দির বাছির মিয়া, আজাদ মিয়া, কামাল হোসেন, চট্টগ্রামের জাহিদ মিয়া, লক্ষীপুরের রাজু মিয়া ওরফে জাহিদ হাসান। এদের মধ্যে জাহিদ মিয়া ও রাজু মিয়া ওরফে জাহিদ হাসানকে ইতোমধ্যে আটক করেছে পুলিশ। গোয়াইনঘাট থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।