• ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় নেতাকে শেষ বিদায়

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৭

সিলেট সুরমা ডেস্ক : বর্ষিয়ান রাজনীতিবীদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্তকে শ্রদ্ধা ভালোবাসা ও চোখরে জলে বিদায় জানালেন সিলেটবাসী। সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী মঞ্চে সুরঞ্জিতের মরদেহে ফুল দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। তখন শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ও তার আশপাশ এলাকায় মানুষের ঢল নেমেছিল
গতকাল সোমবার সকাল ১১টার দিকে এ্যাম্বুলেন্সে করে তার মরদেহ শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হয়। সেখানে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান, সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও বরখাস্তকৃত সিলেট সিটি কপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ বিএনপি’র নেতাকর্মীরা।
এর আগে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটের সময় সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় সুরঞ্জিত সেন গুপ্তকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি। সেখান থেকে এ্যাম্বুলেন্সযোগে সুরঞ্জিত সেনের মরদেহ সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হয়। তখন শহীদ মিনার চত্বরের মূল ফটক বন্ধ থাকলেও আগতরা সড়কে লাইন ধরে অপেক্ষায় ছিলেন প্রিয় মানুষটিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। ফলে নগরীর জিন্দাবাজার পয়েন্ট থেকে চৌহাট্টা পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কে যানচলাচল বন্ধ রাখা হয়।
সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বেলা আড়াই টার দিকে সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের মরদেহ সুনামগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তাঁর নিজ জন্মস্থান দিরাইয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এদিকে, গতকাল সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বক্তৃতাকালে সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের একমাত্র পুত্র সৌমেন সেন আবেগাপ্লুত কণ্ঠে তার বাবাকে সম্মান ও ভালোবাসা দেখানোর জন্য সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে তার বাবার আত্মা শান্তি পাবে। তিনি তার বাবার জন্য সকলের দোয়া ও আর্শীবাদ কামনা করেন।
জেলা ও মহানগর বিএনপির শ্রদ্ধা : বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বৃহত্তর সিলেটের কৃতি সন্তান ও সাবেক মন্ত্রী বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সিলেট বিএনপি নেতৃবৃন্দ। গতকাল সোমবার সকালে সংবিধান প্রনেতা কমিটির অন্যতম সদস্য বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের মরদেহ সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয়। তখন সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে তার মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় সিলেট বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সিলেট জেলা সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, মহানগর সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, জেলা সাধারন সম্পাদক আলী আহমদ, বিএনপি নেতা আহাদুস সামাদ চৌধুরী, মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, হুমায়ুন কবির শাহীন, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, এডভোকেট আতিকুর রহমান সাবু, এমদাদ হোসেন চৌধুরী, আবুল কাশেম, শামীম আহমদ, মুফতী নেহাল উদ্দীন, নারায়ন পুরকায়স্থ ফনি, এডভোকেট ফখরুল হক, আব্দুল লতিফ খান, বজলুর রহমান ফয়েজ, বোরহান উদ্দীন, এডভোকেট ইসরাফিল আলী, কল্লোলজ্যোতি বিশ্বাস জয়, আব্দুল মালেক, দিদার ইবনে তাহের লস্কর, কয়েস আহমদ সাগর, উজ্জল রঞ্জন চন্দ, নুর মোহাম্মদ খান সাইফুর, মো: কাউসার ও রিয়াদুল হাসান প্রমুখ।
শ্রদ্ধা জানালেন আরিফ : বর্ষিয়ান রাজনীতিবীদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বহিস্কৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আরিফুল হক চৌধুরী সাড়ে ১১টার দিকে সেখানে উপস্থিত হন এবং এর একটু পরে তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এদিকে সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানিয়েছেন : সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত’র নিজ বাসভবনের পাশে অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ায় হাজারো জনতার ভালোবাসা অশ্র“সিক্ত নয়নে শেষ বিদায় জানাল দিরাইবাসী তাদেও প্রিয় নেতাকে। সোমবার বিকেল পৌনে পাঁচটায় দিরাই পৌর শহরের সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মালিকাধীন বালুরমাঠে তাঁর মরদেহ পৌছলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। বিশাল বালুর মাঠে হাজারো জনতার চোখে জল, মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠন, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক দিরাই শাল্লার সাবেক এমপি নাছির উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন, দিরাই উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন দিরাই পৌর সভা,  উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, দিরাই ডিগ্রী কলেজ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মহিলা কলেজ ও পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট, বিবিয়ানা মডেল কলেজ, জগদল কলেজ, দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়, দিরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মরদেহের সাথে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, ছাতক দোয়ারাবাজার আসনের এমপি মহিবুর রহমান মানিক, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুস সামাদ ডন। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ মধ্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার, সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কুদ্দুছ, দিরাই সভার মেয়র মোশারফ মিয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাপ মিয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছবি চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক এডিশনাল পিপি এডভোকেট শামছুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সভাপতি আছাব উদ্দিন সর্দার, উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ চৌধুরী, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী আহমদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আলতাব উদ্দিন, যুক্তরাজ্য শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহবায়ক সামছুল হক চৌধুরী সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। সন্ধ্যায় ৭টায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের পৌর শহরের আনোয়ার পুর বাসভবনের উত্তর পাশে নিজ হাতে রোপনকৃত চন্দন গাছের কাঠ দিয়ে তাঁকে দাহ্ করা হয়।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের একমাত্র পুত্র সৌমেন সেনগুপ্ত আবেগ আপ্লুতকণ্ঠে বলেন, আমাকে বলা হয়েছিল বাবার মরদেহের সাথে ঢাকা থেকে আপনজন কারা আসবেন, আমি বলেছিলাম দিরাই শাল্লার সকল মানুষেই বাবার আপন জন, বাবা আজীবন দিরাই শাল্লার মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন আজকের এই শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে মানুষের ঢলই প্রমান করে দিরাই শাল্লার মানুষ বাবাকে কতো ভালোবাসেন। আমি আপনাদের সহযোগিতায় বাবার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে চাই।
দিরাই-শাল্লার সাবেক এমপি, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনিপর আহ্বায়র নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এবং আমি একই পাড়ার বাসিন্দা। রাজনীতিতে আমরা একে অপরের প্রতিপক্ষ ছিলাম কিন্তু সমাজনীতিতে ছিলা পরস্পর পরস্পরের আত্মীয়। সেনদা আমাকে ¯েœহ করতেন আমিও তাকে শ্রদ্ধা করতাম। সেনদা এদেশের স্বাধীনতা, সংবিধার আর গণতন্ত্রের সাথে মিশে আছেন। তার রেখে যাওয়া গণতন্ত্র আজ শৃঙ্খলিত তার মরদেহের সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিজ্ঞা করতে চাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আমরা করবোই। সেনদা যেখানে থাকেন ভালো থাকবেন। আপনার দিরাই-শাল্লার মানুষের পাশে আমি আজন্ম আছি।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের হাতেখড়ি ছাতক দোয়ারাবাজার আসনের এমপি মহিবুর রহমান মানিক বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন আমার রাজনৈতিক গুররু যার হাত ধরে আমার রাজনীতির শুরু বাবার মত যাকে আমি দেখেছি তাঁকে আজ নিজ হাতে এভাবে বিদায় জানাবো সেটা মনে হলে আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, তাঁর সাথে আমি দিরাইয়ের এই বালুর মাঠে কতো বার এসেছি বক্তব্য দিয়েছি, আমি দেখেছি দিরাই শাল্লার মানুষের কতো আপন জন ছিলেন নেতা, সব সময় দিরাই শাল্লার মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করেছেন উন্নয়নে সবসময় শুধু দিরাই শাল্লার কথা ভাবতেন, প্রিয় নেতাকে আর সংসদের সামনের সারিতে বসে সিংহের মতো গর্জন করে বক্তব্য দিতে দেখতে পারবনা সেই দৃশ্যের আজ পরিসমাপ্তি ঘটলো কি যে কষ্ট ভাষা প্রকাশ করা সম্ভব না। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সাথে দিরাইবাসীর সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। তাঁর মৃত্যুর শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করে তাঁকে রাজনৈতিক আদর্শেও প্রতিক হিসেবে বাস্তবায়ীত করতে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি সিলেট বিভাগের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের বিদায়, তাঁর বর্ণিল রাজনৈতিক জীবনে অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রাম সহ দেশের রাজনৈতিক সংকটে তাঁর অবদান ছিল প্রশংসনীয়, তাঁর অবদান জাতি আজীবন শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ রাখবে, তাঁর মৃত্যুতে দেশ হারিয়েছে এক অবিসংবাদিত নেতাকে আমরা হারিয়েছি আমাদের অভিভাবকে। তাঁর মৃত্যুতে যে অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে তা হাজার বছরেও পুষিয়ে উঠা সম্ভব না, আমরা আওয়ামীলীগের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাল্যবন্ধু দিরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন একজন দক্ষ অভিনেতা, ভাল বক্তা হিসেবে মানুষকে খুব সহজেই আকৃষ্ট করতেন, তাঁর মতো এতো প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ বাংলাদেশের ইতিহাসে খুব কমই আছে, তাঁর সাথে একসঙ্গে অনেক স্মৃতি আজ আমাকে কাদাচ্ছে তাঁর মৃত্যুতে দেশ জাতির অনেক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে দেখার জন্য অধির আগ্রহে সকাল থেকেই আপেক্ষা করছিল শাল্লাবাসি, বেলা বাড়ার সাথে সাথেই শাহীদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হতে থাকে। সকল অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মরদেহ বহণকারী হেলিকপ্টার বিকাল ৩:৩০মিনিটে শাল্লা শাহিদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করে। পরে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যগণ তাকে গার্ড অব অর্নার প্রদান করেন। এ সময় অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন, প্রিয় নেতাকে হারিয়ে শাল্লাবসী যেন অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাতক-দোয়ারার সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন, আল আমিন চৌধূরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অবনি মোহন দাস প্রমূখ। দল মত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের ঢল নেমেছে বর্ষিয়ান এ নেতাকে দেখার জন্য। শাল্লা উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল। হাজারো জনতার ভালোবাসা ও বিনম্র শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে বিকাল ৪:০০টায় দিরাই তার নিজ বাসভবনে শেষকৃত্যের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।