• ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

প্রবাসীরা শুধু দেয় বিনিময়ে পায় না: ড. মোমেন

প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার

প্রবাসে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল বাঙালিদের সম্মান জানিয়ে আসছে দেশ ফাউন্ডেশন ইউকে। ২১টি ক্যাটাগরিতে প্রতিবছর বিজনেস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে সেবামূলক এই প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত বিজনেস অ্যাওয়ার্ডে স্বয়ং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন উপস্থিত থেকে বাঙালিদের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৪ মে বার্মিংহামে দ্বিতীয়বারের মতো বিজনেস অ্যাওয়ার্ডের আয়োজন করছে দেশ ফাউন্ডেশন।বিজনেস অ্যাওয়ার্ডকে সামনে রেখে সিলেটে বিশিষ্টজনদের নিয়ে এক মতবিনিময়ের আয়োজন করে দেশ ফাউন্ডেশন ইউকে। মঙ্গলবার সিলেটের অভিজাত একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময়ে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আবদুল মোমেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সিলেট সুরমা’র নির্বাহী সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রোকনের সঞ্চালনায় ও দেশ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’র সমন্বয়ক ফয়সল আহমেদ মুন্নার সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে বিজনেস অ্যাওয়ার্ডের সারগর্ভ বক্তব্য তুলে ধরেন দেশ ফাউন্ডেশন ইউকে’র ও বিজনেস অ্যাওয়ার্ডের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান মিসবাউর রহমান।প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন- প্রবাসীরা দেশের অগ্রগতিতে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখে চলেছেন। দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী রেমিটেন্স একটি বড় চালিকাশক্তি। দেশের সব বড় বড় প্রজেক্টে প্রবাসীদের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। কিন্তু প্রবাসীরা নানাভাবে দেশে এখনো নিগৃহীত রয়েছেন। তাদের ন্যায্য অধিকারটুকু এখনো আমরা নিশ্চিত করতে পারছি না। পারছি না পর্যাপ্ত সম্মান জানাতে। প্রবাসে নানা ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তিদের সম্মানের আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।

দেশ ফাউন্ডেশন ইউকে এই সম্মানের আয়োজন করায় ভূয়শী প্রশংসা করে ড. মোমেন বলেন, প্রবাসীরা শুধু দেয়, বিনিময়ে কিছুই পায় না। দেশ ফাউন্ডেশন ইউকে’র প্রতিষ্ঠাতা মিসবাউর রহমান প্রবাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং তাঁদের সম্মান দিচ্ছেনÑ এটি অবশ্যই এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ড. মোমেন বলেন, প্রবাসীদের অধিকার সুরক্ষায় বর্তমান সরকার নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব আইনে প্রবাসীদের চাহিদা সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সিলেট আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টে সরাসরি ফ্লাইট এ মাসেই চালু হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তা আরো দু-এক মাস বিলম্ব হচ্ছে। তবে সিলেট তথা বাংলাদেশে প্রবাসীদের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিক রয়েছেন। তিনি আরো বলেন, শিক্ষা, যোগাযোগ, ডিজিটালাইজেশন এমন নানা ক্ষেত্রে সিলেট এখনো পিছিয়ে আছে। কিন্তু সিলেটী বংশোদ্ভূত প্রবাসীরা বিভিন্ন দেশে স্ব স্ব ক্ষেত্রে উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। আমরা এমন একটি পরিকল্পনা নিচ্ছি প্রবাসে অবস্থানরত বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেধাবীদের সিলেটে নিয়ে আসবো। সার্বিক উন্নয়নের জন্য যারা আমাদের সহযোগিতা করবেন। সিলেট-ঢাকা চারলেন সড়ক উন্নয়ন কাজও খুব দ্রুত শুরু হচ্ছেÑ এমন তথ্য জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, সিলেটকে সর্বোপরি আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অর্থমন্ত্রীর সহায়তায় বিভিন্ন প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। এগুলো প্রবাসীদের সহায়তায়ই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আগামীতে এমন উন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত করা হবে।

অনুষ্ঠানে দেশ ফাউন্ডেশন ইউকে’র চেয়ারম্যান মিসবাউর রহমান বলেন, প্রবাসীরা দেশের সম্পদ। বিভিন্ন দেশে প্রবাসীরা নিরলস পরিশ্রম করে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু দেশে প্রবাসীদের অধিকার এখনো সুনিশ্চিত হয়নি। সবচেয়ে দুঃখজনক দেশে প্রবাসী সেল থাকলেও তা থেকে পর্যাপ্ত সেবা পান না প্রবাসীরা। এরকম নানা সমস্যা প্রবাসীদের দেশবিমুখ করছে প্রতিনিয়ত। এ থেকে পরিত্রাণ প্রয়োজন, নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন প্রবাসীদের অধিকার। আর তা হলে দেশে প্রবাসী বিনিয়োগ বাড়বে, সুঠাম হবে দেশের অর্থনীতি। আগামী ১৪ মে বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত বিজনেস অ্যাওয়ার্ডে যুক্তরাজ্য তথা দেশের প্রবাসী ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ করার জন্য আহবান জানান মিসবাউর। আগ্রহীরা নমিনেশন সাবমিট করার জন্য দেশ ফাউন্ডেশন ইউকে’র ওয়েবসাইটে (www.deshfoundation.org.uk) যোগাযোগ করার জন্যও আহবান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- দেশ ফাউন্ডেশন ইউকে’র ডাইরেক্টর ফয়েজ আহমদ, সিলেট সহযোগী আনোয়ার আলী, ব্রিটেন বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড এডভাইজার রইছ আলী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও লন্ডন বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাবেক সভাপতি হরমুজ আলী, ইউকে বিসিসিআই ডাইরেক্টর এস আই আজাদ, বিশিষ্টি সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বাসন, হলি সিটি হোল্ডিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওয়ালী তছর উদ্দিন এমবিই, গ্রেটার সিলেট ইউকের সাবেক সভাপতি মুনসেফ আলী, কানাডা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মাহমুদ মিয়া, ব্রিটেনের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গোলাপ মিয়া, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স সিলেটের হাসিন আহমদ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন, ডায়াবেটিস হাসপাতালের ট্রেজারার এম এ মান্নান, তৈমুননেছা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইয়াহিয়া আহমদ, বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আব্দুল মোমেন চৌধুরী, সিলেট ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি মাহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম, নতুন দিনের ডাইরেক্টর এম এ আহাদ, সিলেট জেলা আইনজিবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট মো. লালা, নোলক সোস্যাল এন্ড কালচারাল এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক নিলুফা সুলতানা লিপি, নবনির্বাচিত জেলা পরিষদের সদস্য আমাতুজ জহুরা জেবিন, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সিলেটের সভাপতি আব্দুল বাতিন ফয়সল, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ দেওয়ান গৌছ সুলতান, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবির ইকু, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবরে সিনিয়র সহ-সভাপতি ওয়েছ খছরু, উইমেন্স চেম্বার সভাপতি স্বর্ণলতা রায়, উমরপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া, পয়লনপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল মতিন, সাদীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব, গোয়ালাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিক, সিলেট ওয়েল্ডিংয়ের কর্ণধার কয়সর আহমদ, কমিউনিটি নেতা ফারুক আহমদ এমবিই, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের ডিরেক্টর তাহমিনা খাতুন, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা জাবেদ সিরাজ, যুক্তরাজ্য কভেন্ট্রি যুবলীগের আহবায়ক হোসেন আহমদ, এম এ ফাত্তাহ, আইটি ইনভেস্টর কায়েস চৌধুরী, কৃষিবিদ আবদুল বাছিত সেলিম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল ওয়ালী, আবু হামজা, মাছুম আহমেদ, যুক্তরাজ্য মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী হোসনা আমিন, রাজমহলের কর্ণধার মির্জা বেলাল প্রমুখ।