• ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটের ব্লু বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর হত্যা”

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জুলাই ১০, ২০১৭
সিলেটের ব্লু বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর হত্যা”

সিলেট সুরমা ডেস্ক : সিলেট নগরীর সুবিদবাজারস্হ ব্লু বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর হত্যা করার খবর পাওয়া গেছে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম ছায়রা বেগম (২০) ও সে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব পংকি খানের ভাতিজী। পংকি খানের গ্রামের বাড়ী সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ৬নং বিশ্বনাথ ইউনিয়নের ইলামের গাঁও গ্রামে।

খবর নিয়ে জানাযায়, গত ৮জুলাই (শনিবার) প্রতিদিনের মত সে কলেজে যায়। কলেজ থেকে ফেরার পথে তাকে দুর্বৃত্তরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। প্রায় ৪৮ ঘন্টা খোঁজাখুঁজির পর আজ সকাল অনুমানিক ১১টার দিকে তার চাচার (পংকি খানের) বাড়ির পাশে একটি জলাশয়ে স্হানীয়রা তার লাশ দেখতে পায়। পরে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে স্থানীয় বিশ্বনাথ থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে এবং পংকি খান তার ভাতিজি ছায়রা বেগমের লাশ বলে সনাক্ত করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই দিন আগে কে বা কাহারা ছায়রা বেগমকে কলেজ থেকে ফেরার পথে অপহরণ করে। প্রেম ঘটিত কারনে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে মনে হচ্ছে। কারন তাকে পার্শ্ববর্তী পৌদনাপুর গ্রামের হামিদ অালীর ছেলে মোহাম্মদ আলী স্কুলে যাওয়া-অাসা করতে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত।
এ ব্যাপারে নিহত ছায়রা বেগমের চাচা পংকি খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তার ভাতিজিকে কলেজে যাওয়া আসার পথে মোহাম্মদ আলী নামের একটি বখাটে ছেলে প্রায়ই উত্যক্ত করত। তাছাড়া কুপ্রাস্থাব দিয়ে আসছিলো। কিন্তু ছায়রা বেগম তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে তাকে হুমকী দামকী দিতে থাকে এবং রীতিমতো বিরক্ত করতে থাকে৷ তিনি আরো বলেন এর আগেও ছায়রা বেগমকে উত্যক্ত করার দায়ে মোহাম্মদ আলীকে সিলেট ব্লু বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ থেকে বহিস্কার করা হয়। আর এর প্রতিশোধ নিতেই সে সন্ত্রাসীদের নিয়ে গত শনিবার আমার ভাতিজি কলেজে যাবার পথে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং খুন করে।
এদিকে এলাকার অনেকের মুখেই শুনা যায় নিহত ছায়রা বেগম ও মোহাম্মদ আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্কের কথা। তারা বলেন পংকি খান বেশ কয়েকবার এই প্রেমে বাধা দেন এমনকি মোহাম্মদ আলীর পরিবারকে হুমকি দামকিও দেন।

উক্ত খুনের ঘটনা সম্পর্কে বিশ্বনাথ থানা ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা শামসুদ্দোহা পিপি এম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই দিন আগে ছায়রা বেগমকে অপহরণ করা হয়েছে বলে পংকি খান থানায় অভিযোগ দেন। অাজ সকাল অনুমানিক ১০ঘটিকার দিকে স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে সংবাদ পৌঁছলে তিনি ফোনে অামাদেরকে বিষয়টি অবগত করেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ও ময়নাতদন্তের জন্যে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাটায়। সর্বশেষ রাত ৮ ঘটিকায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি ও নিহতের পরিবার থেকে মামলার পক্রিয়া চলছে।