• ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

রাগীব আলীর বিরুদ্ধে স্মারক জালিয়াতি মামলার শুনানি পিছিয়েছে

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৬, ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার
ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির মাধ্যমে তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তি আত্মসাতের ঘটনায় রাগীব আলীর বিরুদ্ধে মামলার শুনানি পিছিয়েছে। বৃহস্পতিবার সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো ছুটিতে থাকায় মহানগর হাকিম-প্রথম মাহবুবুর রহমানের আদালতে শুনানির জন্য রাগীব আলীকে হাজির করা হয়। তবে এ আদালতে মামলার নথি না আসায় বিচারক শুনানি পিছিয়ে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। গত ১৭ জানুয়ারি রাগীব আলীর পক্ষে আদালতে সাফাই সাক্ষ্য দেন রাগীব আলীরই মালিকানাধীন মালনিছড়া চা বাগানের সহকারী ম্যানেজার মাহমুদ হোসেন চৌধুরী ও আব্দুল মুনিম।
উল্লেখ্য, সিলেটে ৪২২ দশমিক ৯৬ একর জায়গায় গড়ে ওঠা তারাপুর চা বাগানের পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। হাজার কোটি টাকার এই সম্পত্তি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনে একটি মামলা হয় রাগীব আলীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুযায়ী, আসামিরা ১৯৯০ সালে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে তারাপুর চা বাগানটি দখল করেন। বাগানের একাংশে রাগীব আলী নিজের ও তার স্ত্রীর নামে মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং কলেজ স্থাপন করেন। রাগীব আলী ছাড়া অন্য পাঁচ আসামি হলেন- তারাপুর চা বাগানের সেবায়েত পংকজ কুমার গুপ্ত, রাগীব আলীর আত্মীয় মৌলভীবাজারের রাজনগরের বাসিন্দা দেওয়ান মোস্তাক মজিদ, রাগীব আলীর ছেলে আবদুল হাই, জামাতা আবদুল কাদির ও মেয়ে রুজিনা কাদির। এছাড়া আত্মসাতের প্রক্রিয়ায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাই ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জাল করেন বলে অভিযোগ এনে একটি স্মারক জালিয়াতির মামলা হয়।
দেবোত্তর সম্পত্তির চা-বাগান বন্দোবস্ত নেওয়া ও চা-ভূমিতে বিধিবহির্ভূত স্থাপনা করার অভিযোগে ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আবদুল কাদের বাদী হয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি ও সরকারের এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুটো মামলা করলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে নিষ্পত্তি করে পুলিশ।
গত বছর ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের রায়ে মামলা দুটো পুনরুজ্জীবিত করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। দুই মামলায় গত ১০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হলে ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে প্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। ওই দিনই পালিয়ে ভারতের করিমগঞ্জ চলে যান রাগীব আলী ও তাঁর ছেলে। গত ২৩ নভেম্বর ভারতের করিমগঞ্জ ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন রাগীব আলী। ওই দিনই তাঁকে দেশে পাঠানো হলে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গত ১২ নভেম্বর ভারত থেকে জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন হয়ে দেশে ফেরার সময় আবদুল হাই গ্রেপ্তার হন।