• ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

অন্যের হয়ে জেল খাটার ঘটনা : ভূট্টোসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৩, ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার
বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে ভূট্টো ও তাঁর আইনজীবীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে।  সোমবার দুপুরে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ছগির মিয়া সিলেট কোতোয়ালি থানায় এক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।  মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদ।
এ ব্যাপারে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ছগির মিয়া জানান, বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে তিনি এ মামলা দায়ের করেছেন। আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। যে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে তারা হলেন, রিপন আহমদ ভূট্টো, তার আইনজীবী শাহ আলম, শিক্ষানবীশ আইনজীবী শামীম আহমদ, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দালাল লিয়াতক হোসেন।
জানা যায়, ২০০৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর সিলেট নগরী থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন আলী আকবর সুমন (২৪)। পরদিন মোগলগাঁও ইউনিয়নের হাউসা গ্রামের পাশে ঝিলকার হাওরে কচুরিপানার নিচে তার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় নিহতের ছোট ভাই আলী আহসান সুহেল বাদী হয়ে মামলা করেন। শুনানি শেষে ২০১২ সালের ২০ জুন আলোচিত ওই মামলার রায় ঘোষণা করেন সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন বিচারক দিলীপ কুমার দেবনাথ। মামলার চার্জশিটভুক্ত ৯ আসামির মধ্যে ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন হাউসা গ্রামের মৃত মছকন্দর আলীর ছেলে দরাছ মিয়া ওরফে গয়াছ ও তার স্ত্রী রুজিনা বেগম এবং একই গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে মো. ইকবাল হোসেন বকুল। সাজাপ্রাপ্ত ৩ আসামিই পলাতক ছিলেন। ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর রিপন আহমদ ভূট্টো আদালতে হাজির হয়ে নিজেকে ইকবাল হোসেন বকুল দাবি করেন। আদালতের নির্দেশে এরপর থেকে তিনি কারাগারেই রয়েছেন। তবে আত্মসমর্পণের এক বছর ২ মাস পর বেরিয়ে আসে মূল সত্য। যে বকুল কারাগারে রয়েছেন, তিনি আসল বকুল নন। তার আসল পরিচয় ভুট্টো। আর মূল আসামী ইকবাল হোসেন বকুল বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করছেন। সাজাভোগের ১৪ মাস পর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হান্নানকে প্রধান করে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা ও দায়রা জজ মনির আহমেদ পাটোয়ারী। গত মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি।