• ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

এবার ফানাই ও গোগালীছড়া রেলব্রিজে স্লিপার রক্ষায় বাঁশ!

প্রকাশিত জানুয়ারি ১৭, ২০১৭

শাকির আহমদ, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় জোন এর সিলেট-কুলাউড়া-আখাউড়া রেললাইনের শতাধিক রেলব্রিজের কাঠের স্লিপার যাতে রেললাইন থেকে সরে না যায় সেজন্য লাইনের ভিতরে এবং বাইরে জোড়াতালি দিয়ে বাঁশ লাগানো হয়েছে। এমন চিত্র দেখা গেছে সিলেট-আখাউড়া রেললাইনের কুলাউড়া জংশনের ফানাই ও গোগালীছড়া (২৯ ও ২৭ নম্বর) রেলব্রিজে। এছাড়াও এই রুটের আরো শতাধিক রেলব্রিজে এমন চিত্র দেখা যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। ইতিপূর্বে কুলাউড়া উপজেলার মনু নদীর রেলব্রিজে বাঁশ লাগানো নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এরপর মনু রেলব্রীজের বাঁশ অপসারণ করে সেতু মেরামত করা হলেও সিলেট-কুলাউড়া-আখাউড়া রেললাইনের অধিকাংশ ব্রিজে এখনও বাঁশ থেকেই গেছে। নতুন করে কিছু কিছু ব্রিজে বাঁশ লাগানো হচ্ছে। সরেজমিন কুলাউড়া জংশনের ফানাই ও গোগালীছড়া (২৯ ও ২৭ নম্বর) রেলব্রিজে সেতুতে গেলে দেখা যায়, রেলব্রিজের স্লিপারগুলো পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় ফিসপ্লেট নেই। বেশীর ভাগ জায়গায় জয়েন্ট ক্লিপ নাই। এসব পঁচন ধরা কাঠের স্লিপার যাতে রেললাইন থেকে সরে না যায় সেজন্য লাইনের ভিতরে এবং বাইরে বাঁশ দিয়ে জোড়াতালি দেয়া হয়েছে। ফলে অধিকাংশ এসব ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের উপর দিয়ে প্রতিদিন ট্রেন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। তাছাড়া রেলপথের পাহাড়ি ছড়া ও নদীর উপর প্রায় ৬০-৭০ বছর পূর্বে নির্মিত এসব ব্রিজ দীর্ঘদিন যাবত পুনঃনির্মাণ না করায় এই ঝুঁকির কারণ বলে জানিয়েছে রেলওয়ের দায়িত্বশীল সূত্র। স্থানীয় লোকজন জানান, আশেপাশের এলাকা থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে তা কেটে রেলব্রিজের রেলের বাইরে ও ভেতরের কাঠের স্লিপাারের সাথে ক্লিপ মেরে চলে যায়। তাছাড়া রেলের কর্মীরা স্থানীয় লোকজনকে ব্রিজের লাগানো বাঁশ খেয়াল রাখার জন্যও বলে যায়। রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, সিলেট-কুলাউড়া-আখাউড়া সেকশনে রেললাইনে তিন ফিট থেকে ৩০০ ফিট দীর্ঘ ব্রিজও রয়েছে। এ সেকশনের ১৭৭ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে ২৫০টির বেশি ছোট-বড় ব্রিজ রয়েছে। এখন থেকে ৬০-৭০ বছর আগে নির্মিত এসব ব্রিজ একবারও পুনঃনির্মিত হয়নি। অধিকাংশ ব্রিজের কাঠের স্লিপারগুলো পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। রেলওয়ে সূত্র আরও জানায়, এই সেকশনের রেল ব্রিজে ত্রুটির কারণে সিলেট-চট্রগ্রাম ও সিলেট-ঢাকাগামী ট্রেন স্বাভাবিক গতির চেয়ে কম গতিতে চলাচল করে। এব্যাপারে ব্রিজ এলাকায় ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দেশনা দেয়া আছে বলে জানায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ে সিলেট ডিভিশনের সহকারী প্রকৌশলী মুজিবুর রহমানে ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।