• ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় বিএনপি

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ৬, ২০১৭

 সিলেট সুরমা ডেস্ক ::::: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। তিনি বলেন, ‘বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের কাজ হচ্ছে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা। তাই তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চায়।’ কাদের আরো বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে পরাজিত করতে ব্যর্থ হয়ে বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও একই ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে।
ওবায়দুল কাদের আজ সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসভাকে সফল করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের সাথে স্বেচ্ছাসেবক লীগের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওছারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ নাথ এমপি।
সভায় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না।
তিনি বলেন, আর তাই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল সেভাবে একটি মতলবি মহল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র চলছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে যে বুলেট হত্যা করেছে ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু সে বুলেটের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের জনসভাকে ঐতিহাসিক জনসভায় রূপদানের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ১০ জানুয়ারি ঢাকার সকল রাজপথ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সাথে মিশে যাবে। আর তাই এ জনসভার জন্য সাধারণ মানুষের যাতে কোন দুর্ভোগ না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা খুবই জরুরী।
তিনি বলেন, দেশের জনগণের জন্য রাজনীতি করি। আর জনসভার জন্য জনগণ দুর্ভোগ পোহালে দলের ইমেজের জন্য তা ইতিবাচক হবে না।
কাদের বলেন, তাই রাজপথগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক রাখা দরকার যারা জনসভায় আসা মিছিলগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে রাস্তার একপাশ দিয়ে নিয়ে আসবে। এতে যান চলাচলে কোন বিঘœ ঘটবে না। এতে জনগণের দুর্ভোগ কম হবে।
এ সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রার জন্য সৃষ্ট যানজটের দুর্ভোগ পোহানোর জন্য রাজধানীবাসীর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
এ জনসভাকে শুধু জনসমাগমের দিক থেকে নয়, শৃঙ্খলার দিক থেকেও ঐতিহাসিক জনসভায় পরিণত করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
উল্লেখ, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন ও নয়াদিল্লী হয়ে দেশের মাটিতে ফিরে আসেন। এর আগে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বিশ্বের ইতিহাসে জঘণ্যতম গণহত্যা শুরু করার আগ মুহূর্তে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করেছিল।