সিলেট সুরমা ডেস্ক :::: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সদস্যরা ডিসেম্বরে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৩২ কোটি ২২ লাখ ১৬ হাজার টাকা মূল্যের চোরাচালান পণ্য ও মাদক দ্রব্য আটক করেছে। বিজিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ কথা জানানো হয়। আটককৃত মাদক দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২৬ হাজার ৩৭১ বোতল ফেনসিডিল, ৪৯২ কেজি গাঁজা, ১৭ হাজার ৩৮৪ বোতল বিদেশী মদ, ৩ কেজি ১৯ গ্রাম হেরোইন, ২৮ হাজার ৪৮৯টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন এবং ১ লাখ ৮০ হাজার ৪৩৯ পিস বিভিন্ন প্রকারের অবৈধ ট্যাবলেট।
এছাড়া আটককৃত অন্যান্য চোরাচালান পণ্যের মধ্যে রয়েছে ১৭ হাজার ৪৯৯টি শাড়ি, ৫ হাজার ৬৪৭টি থ্রিপিস/শার্টপিস, ৫ হাজার ২৭৪ মিটার থান কাপড়, ৪ হাজার ৮২৬টি তৈরী পোশাক, ৪৬ হাজার ৪১৬ সিএফটি কাঠ, ৪৭৬ গ্রাম স্বর্ণ এবং ৬টি তক্ষক।
এ সময় বিজিবি সদস্যরা ৪টি পিস্তল, ৬টি বিভিন্ন ধরনের বন্দুক, ১৫ রাউন্ড গুলি এবং ৪টি ম্যাগাজিন আটক করে।
মাদক পাচারসহ অন্যান্য চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তারা ১৭৩ জন এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের অপরাধে ১৪৭ জন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করেছে।
এছাড়া ভারত হতে বাংলাদেশে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের অভিযোগে ৬ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক এবং মায়ানমার সীমান্তে ২হাজার ৫৮৯ জন মায়ানমার নাগরিকের অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত এবং তাদেরকে ফেরৎ পাঠানো হয়েছে।
উলে¬খ্য, গত বছরে (জানুয়ারি হতে ডিসেম্বর-২০১৬) বিজিবি সদস্যরা সর্বমোট ১ হাজার ১৬১ কোটি ৬৭ লাখ ১৭ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্য ও মাদক দ্রব্য আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
গত বছর উলে¬খ্যযোগ্য পরিমাণ মাদকদ্রব্য আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮১ লাখ ৬৭ হাজার ৬৩১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২ লাখ ৬৩ হাজার ৩২৪ বোতল ফেনসিডিল, ১৬ হাজার ৯৮৪ কেজি গাঁজা, ২ লাখ ৫৪ হাজার ৯৩৮ বোতল বিদেশী মদ, ৩৫ কেজি ৭৭ গ্রাম হেরোইন, ৮৬ হাজার ৪৮৯টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ২ কোটি ১৬ লাখ ৯ হাজার ৯৫৮ পিস বিভিন্ন প্রকারের অবৈধ ট্যাবলেট রয়েছে।
এছাড়া আটককৃত অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার ১৪২টি শাড়ি, ৫০হাজার ৩০৫টি থ্রিপিস/শার্টপিস, ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৮৯১ মিটার থান কাপড়, ১ লাখ ২০ হাজার ৬৬৫ সিএফটি কাঠ, ২৬ কেজি ৩৮ গ্রাম স্বর্ণ এবং ৫টি কষ্টি পাথরের মূর্তি।
গত বছর আটককৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৬৬টি পিস্তল, ৫০টি বিভিন্ন প্রকারের বন্দুক, ২৬১ রাউন্ড গুলি, ৬৯টি ম্যাগাজিন, ৭টি ইলেকট্রনিক ডেটনেটর এবং ৫৫২ কেজি ৭০০ গ্রাম গান পাউডার।
গত বছর বিজিবি’র অভিযানে মাদক পাচারসহ অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১ হাজার ৭৮৩ জন এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের অভিযোগে ১ হাজার ৭৫৩ জন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করে।
এছাড়া বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে ৮ হাজার ৩০৫ জন মায়ানমার নাগরিকের অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করা হয়েছে।