• ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

পাঠ্যপুস্তক বিতরণের এ কার্যক্রম বিশ্বে অতুলনীয় : শিক্ষামন্ত্রী

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ২, ২০১৭

সিলেট সুরমা ডেস্ক :::: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সময়মতো পাঠ্যপুস্তক বিতরণ একটি বৃহৎ কর্মযজ্ঞ। এ কার্যক্রম বিশ্বে অতুলনীয়। তিনি বলেন, ‘পাঠ্যপুস্তক প্রস্তুত, বিতরণ ও সময়মত সকল শিক্ষার্থীর হাতে তা পৌঁছে দেয়া শিক্ষাক্ষেত্রে সর্ববৃহৎ কার্যক্রম। পাঠ্যপুস্তক বিতরণের এ কার্যক্রম বিশ্বে অতুলনীয়।’
শিক্ষামন্ত্রী রোববার ঢাকায় আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে কেন্দ্রীয়ভাবে পাঠ্যপুস্তক উৎসব উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
সারাদেশে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই উৎসব পালিত হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শিক্ষার্থীদের হাতে বছরের প্রথম দিন পাঠ্যপুস্তক তুলে দিতে এ উৎসব আয়োজন করা হয়। ২০১০ সাল থেকে এ উৎসব পালিত হয়ে আসছে। ঢাকা শহরের ৩১টি বিদ্যালয়ের প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী বই উৎসবে যোগ দেন।
উৎসব উদ্বোধনকালে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত বছর ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার বই বিতরণ করা হয়েছিল। এবার ৪ কোটি ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ৯২৯ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৪৫টি বই বিতরণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এবারই প্রথমবারের মতো ৫টি ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠীর ভাষায় ৭৭ হাজার ২৮২টি বই ছাপানো হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিকের ২৪ হাজার ৬৪১ জন শিক্ষার্থীর মাঝে এ বইগুলো বিতরণ করা হবে। ৫টি জাতি-গোষ্ঠী হচ্ছে মারমা, চাকমা, গারো, সাদ্রি ও ত্রিপুরা।
মন্ত্রী বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য এবার ব্রেইল পদ্ধতিতেও বই ছাপা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এধরনের ৯ হাজার ৭০৩টি বই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ১ হাজার ২৩১ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ করছে।
নাহিদ বলেন, শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধিই এখন চ্যালেঞ্জ। এ জন্য পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হবে। নতুন প্রজন্মই বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে নিয়ে যাবে। এজন্য তাদেরকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান বক্তৃতা করেন।
পরে মন্ত্রী উপস্থিত শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দেন। এছাড়া মন্ত্রী আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক হাছিবুর রহমানের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষক নির্দেশিকাও তুলে দেন।
এদিকে রাজশাহী মহানগরী এবং উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে আজ নতুন পাঠ্যপুস্তক গ্রহণ করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌছে দিতে প্রত্যেকটি স্কুলে পাঠ্যপুস্তক উৎসবের আয়োজন করা হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে ঢাকা মহানগরীর ৩০টি জোন ও ৫ উপজেলায় আজ মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় প্রাক-প্রাথমিক ও সহজ কোরআন শিক্ষার মোট ৪ হাজার ৫টি কেন্দ্রে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশে ২ লক্ষাধিক পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়।
ইফার মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় প্রাক-প্রাথমিক, বয়স্ক ও সহজ কোরআন শিক্ষার ৫১ হাজার ৫৬৮টি কেন্দ্রে ১৯ লাখ ৪১ হাজার ২শ’ জন কোমলমতি শিশু ও বয়স্ক শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসবঘন পরিবেশে পাঠ্য পুস্তক ও কিতাব বিতরণ করা হয়।