• ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

যৌতুক না পেয়ে শহরতলীতে স্ত্রীর জিহ্বা ও রগ কেটে দিলেন স্বামী, শ্বাশুড়ি আটক

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার
শহরতলীতে যৌতুক না পেয়ে এক গৃহবধূর জিহ্বা ও পায়ের রগ কেটে দিয়েছে স্বামী। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে সদর উপজেলার পশ্চিম দর্শা গ্রামে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
বর্বর হামলার শিকার গৃহবধুর নাম সোমা বেগম। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায  জালালাবাদ থানায় একটি মামলা  দায়ের করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ ও সোমার পরিবারসূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে দক্ষিন সুরমার লামুয়া গ্রামের বেলাল মিয়ার সাথে বিয়ে হয় সোমা বেগমের। বিয়ের তিন বছরের মধ্যেই আরেকটি বিয়ে করেন বেলাল। আর এরপর থেকেই সোমার ওপর শুরু হয় স্বামীর নির্যাতন। নির্যাতন সইতে না পেরে এক বছর আগে বাবার বাড়ি সদর উপজেলার পশ্চিম দর্শায় ফিরে আসেন সোমা।
সোমার বড় ভাই হাফিজ মিয়া জানান, সোমাদের বাড়িতে গিয়েও স্ত্রীর কাছ থেকে জোর করে টাকা নিয়ে আসতেন বেলাল। কিন্তু চাহিদামত টাকা দিতে না পারায় গত গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেলাল তার সহযোগীদের নিয়ে সোমার ওপর চালায় নির্মম নির্যাতন। ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে প্রথমে কেটে ফেলেন সোমার জিহ্বা। এরপর তার এক পায়ের রগ কেটে ফেলেন। কুপিয়ে জখম করেন অপর পা। এ ব্যাপারে পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় বেলাল ও তার পরিবারের সদস্যদের আসামি করে জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে শনিবার সকালে অভিযান চালিয়ে মামলার অন্যতম আসামি বেলালের মা জয়বুন্নেসাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন বলেন, বেলাল তার পরিবারের লোকজনের প্ররোচনায় যৌতুক দাবি করে সোমার ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রধান আসামি বেলালের পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্যদেরও ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে। বেলাল এখনো পলাতক থাকলেও তার মা জয়বুন্নেসাকে গ্রেপ্তার করেছি আমরা। বেলালকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।