ছাতক সংবাদদাতা
ছাতকে স্কুল ছাত্রী অপহরণের ২০ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত তাকে উদ্ধার বা এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অপহৃতা ঐ স্কুল ছাত্রী বেঁচে আছে কি না, তাকে উদ্ধার করা সম্ভব কি না তা নিয়ে অপহৃতার পিতা-মাতা এবং পরিবারের মধ্যে হতাশা দিন দিন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। অপহিৃতার পরিবারের অভিযোগ, অদৃশ্য কারণে পুলিশ এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে বলেও তাদের অভিযোগ।
২০ নভেম্বর উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের সেনপুর গ্রামের নুরুল হোসেনের মেয়ে এবং মুনিরজ্ঞাতী উচ্চ বিদ্যালয়ের জে.এস.সি পরীক্ষার ফল প্রত্যাশী স্কুল ছাত্রী জাউয়া বাজার থেকে দুপুরে অপহরণ হয়। এ ঘটনায় পরদিন অপহিৃতার মাতা সাজনারা বেগম বাদি হয়ে ছাতক থানায় অপহণের একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে, পুলিশ বাদিকে আশ্বস্ত করে। কিন্তু ৬-৭ দিন পর পুলিশ এজাহার পরিবর্তন করার জন্য বাদিকে নির্দেশ দেয়। এরপর এজাহার পরিবর্তন করে ১ ডিসেম্বর সাজনারা বেগম পুনরায় অপহরণের অভিযোগ দাখিল করেন। এরই মধ্যে আরো ৪-৫ দিন চলে যায়। পুলিশ অপহিৃতাকে উদ্ধারের ব্যবস্থা গ্রহণ না করে আবারো এজাহার পরিবর্তনের জন্য সাজনারা বেগমকে নির্দেশ দেয়।
অবশেষে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পুলিশের প্ররোচনায় সাজনারা বেগম আবারো অভিযোগ পরিবর্তন করে থানায় দিলে এ ঘটনায় ৮ ডিসেম্বর ছাতক থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা নং- ১৩ (১২) (১৬) নতী ভুক্ত হয়। একের পর এক এজাহার বদলের পালা চলতে থাকলেও অপহিৃতাকে উদ্ধার এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ করেছেন বাদি সাজনারা বেগম।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাউয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নুর মিয়া জানান, অপহিৃতাকে উদ্ধারের এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু স্থানে অপহিৃতাকে উদ্ধার এবং ঘটনাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আসামীরা আত্মগোপনে থাকায় গ্রেপ্তারে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে বলেও জানান তিনি।